
ক্ষমতায় বসার পর এই প্রথম ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা দিতে নিজের কর্তৃত্ব ব্যবহার করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে জ্ঞাত দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টগনে মজুদকৃত অস্ত্রই কিয়েভকে দেবেন ট্রাম্প। যদিও এখন পর্যন্ত নতুন করে ইউক্রেনকে কোনো অস্ত্র সরবরাহের অনুমতি দেয়া হয়নি।
তবে সম্প্রতি পরিস্থিতি পাল্টেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। মূলত এজন্যই হয়ত কিয়েভকে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহের অনুমতির কথা ভাবছেন তিনি। তার প্রশাসন এখনও সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলের অনুমোদিত অস্ত্রই সরবরাহ করে যাচ্ছে। তবে জরুরি অবস্থা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রডাউন অথরিটি (পিডিএ) বা প্রেসিডেন্সি ক্ষমতা ব্যবহার করে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের অনুমতি দিতে পারবেন ট্রাম্প।
সূত্রের তরফে বলা হয়েছে, নতুন করে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করা হতে পারে। যার মধ্যে থাকবে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও মধ্যপাল্লার রকেট।
রুশ গণমাধ্যম আরটি বলছে, পেন্টাগনে অস্ত্রের টানাটানির উদ্বেগের মধ্যে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিপরীত মুখী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ট্রাম্পের সঙ্গে কোনোরকম পরমার্শ ছাড়াই অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কিয়েভবে সহায়তা বৃদ্ধির বিরোধীতা করে আসছে।
ইউক্রেনে ট্রাম্পের অস্ত্র পাঠানোর কথা বলার পর তা ভুলভাবে চিত্রিত করা হয়েছে দাবি করেন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। প্রসঙ্গত নির্বাচনী প্রচারণার সময় ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয়ায় বাইডেন প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প। ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করা এখনও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা রুশ বাহিনীর কাছে ভূখণ্ড হারাচ্ছে ইউক্রেন। বিদেশি অস্ত্র লক্ষ্য অর্জনে কোনো বাধা হতে পারবে না বলে বার্তা দিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনকে সহায়তা দেয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি লিপ্ত দেশ হিসেবে বিবেচনা করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৬:৫১ ৬৭ বার পঠিত