
কলাবাগান থানার সাবেক ওসি মোক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি (সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগ)-কে নির্দেশ দিয়েছেন ৮ নম্বর আদালতের বিচারক সিফাত উল্লাহ। মামলাটি দায়ের করেছেন শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. আব্দুল ওয়াদুদ।
ড. আব্দুল ওয়াদুদ অভিযোগ করেন, গত ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে কলাবাগান থানার পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় তার বাড়িতে প্রবেশ করে প্রায় এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি গবেষণার জন্য রাখা ২০ জোড়া দুর্লভ পাখি নিয়ে যায়।
মামলায় সাবেক ওসি মোক্তারুজ্জামান, সাবেক এসআই বেলাল হোসেনসহ অন্য পুলিশ সদস্য এবং আব্দুল মান্নান ভূইয়া অভিযুক্ত রয়েছেন। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা বরখাস্ত হয়েছেন।
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “ড. আব্দুল ওয়াদুদ একজন সম্মানিত পরিবারের সন্তান। তার পিতা ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। তিনি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং বিদেশ থেকে পিএইচডি করেছেন। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন এবং নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখেন। একজন প্রকৃতিপ্রেমী ও ওয়াইল্ডলাইফ বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও বিভিন্ন পাখি নিয়ে গবেষণা করছেন। সরকার তাকে বাংলাদেশে বাঘের বাচ্চা লালন-পালনের একমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া বিদেশি পাখির সফল ব্রিডিং কার্যক্রমে তার অবদান রয়েছে, যা দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে সহায়ক হয়েছে।”
এম সরোয়ার হোসেন বলেন, অসাধু পুলিশ সদস্যদের কারণে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪২:১৭ ৭ বার পঠিত