
তালেবান সরকারকে রাশিয়ার স্বীকৃতি নিয়ে আফগানদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাশিয়ার স্বীকৃতি নিয়ে কেউ আশাবাদী কেউ কেউ আবার হতাশ। ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রথম কোনো দেশ হিসেবে বৃহস্পতিবার তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার গুল মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। যদি বিশ্ববাসী আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দেয় তাহলে আমরা খুশি হবো। তিনি আরও বলেছেন, এখন ছোট ছোট বিষয়ও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ১৯৭৯ সালে আফগাস্তিানে সোভিয়েত আগ্রাসনের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে পাকিস্তানে শরণার্থী হলেও তিনি স্বীকার করেছেন এখন অগ্রাধিকার ভিন্ন।
এদিকে ৬৭ বছর বয়সী জামালউদ্দিন সায়ার বলেছেন, বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে অগ্রগতি আসবে। অবসরপ্রাপ্ত ওই পাইলট বলেছেন, অন্যদেশগুলোর উচিত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার না ছড়ানো। রাশিয়া ও আফগান কর্মকর্তারা ওই পদক্ষেপকে সহযোগিতার সূচনা হিসেবে প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। আফগান কর্তৃপক্ষ বার বার আশ্বস্ত করেছে যে, কোনো গোষ্ঠীকে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে অন্য কোনো দেশে হামলা চালাতে দেয়া হবে না। তবে তালেবান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। কঠোরভাবে ভিন্নমত দমনের কারণে কাবুলের বাসিন্দারা প্রকাশ্যে তালেবান কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করতে ভয় পান। আতেফ নামে একজন বলেন, আফগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে ভালো সম্পর্ক সাধারণ আফগানদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে।
২৫ বছর বয়সী এক তরুণ বলেছেন, আমার মনে হয় আফগানিস্তান আবার রাশিয়ার ফাঁদে পা দেবে এবং চ্যালেঞ্জগুলো আরও বাড়বে। এমন কিছুই নেই যা সাধারণ আফগানদেরকে সাহায্য করবে। মানুষ এখনও কষ্টে আছে স্বীকৃতি পেলেও কষ্টেই থাকবে। আফগান নারীদের অধিকার বিষয়ক কর্মী যারা আফগান সরকারকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে ছিলেন তাদের জন্য এই স্বীকৃতি বড় ধরণের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নরওয়ে ভিত্তিক নারী অধিকার কর্মী হোদা খামোশ রাশিয়ার পদক্ষেপের প্রভাবের বিরুদ্ধে অটল ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৯:৪২ ৯ বার পঠিত