কলকাতা আইন কলেজে ছাত্রী ধর্ষণ ধামাচাপা দিতে ধর্ষণের ভিডিও যখন হাতিয়ার

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » কলকাতা আইন কলেজে ছাত্রী ধর্ষণ ধামাচাপা দিতে ধর্ষণের ভিডিও যখন হাতিয়ার
বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫



কলকাতা আইন কলেজে ছাত্রী ধর্ষণ ধামাচাপা দিতে ধর্ষণের ভিডিও যখন হাতিয়ার

কলকাতার এক নামী আইন কলেজের ২৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও সেই দৃশ্য ধারণ করা হয়। ধর্ষক চেয়েছিল সেই ভিডিও দিয়েই ধর্ষিতার মুখ বন্ধ করা যাবে। সে হুমকি দেয়, ধর্ষণের কথা পুলিশে বললে ভিডিও ফাঁস করে দেবে। ধর্ষণ করে আবার সেই ধর্ষণকে ধামাচাপা দিতে এভাবেই হাতিয়ার বানানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কলেজের এক সাবেক ছাত্র ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী মনোজিত মিশ্র ওরফে ‘ম্যাঙ্গো’। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। ঘটনার পরদিনই ধর্ষিত ছাত্রী সাহস করে থানায় অভিযোগ করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মনোজিত বিশ্বাস করেছিল ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে চুপ করিয়ে রাখা যাবে। ২৫ জুন সন্ধ্যায় ছাত্রীটি কলেজে ফর্ম জমা দিতে গিয়েছিলেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মনোজিত তার দুই সহযোগী প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জায়েব আহমেদের সঙ্গে মিলে তাকে একটি নির্জন রুমে নিয়ে যায়। সেটা ছিল কলেজের নিরাপত্তাকর্মীর ঘর। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং সেই দৃশ্য ভিডিও করে রাখা হয়। ধর্ষণের পর মেয়েটি তার বাবাকে ফোন করে তাকে বাসায় নিয়ে যেতে বলেন। অপরাধীরা তখন কলেজ ত্যাগ করে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মনোজিত তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠকে কসবা থানার সামনে পাহারা দিতে বলে, যেন বোঝা যায় ছাত্রীটি থানায় যাচ্ছে কিনা।

মনোজিত ও তার সঙ্গীরা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ড করেছিল এই বিশ্বাসে যে, মেয়েটি পুলিশের কাছে যাবে না। এভাবে তারা তাকে মানসিকভাবে ভাঙার পরিকল্পনা করেছিল। এছাড়া তদন্তে আরও প্রকাশ পায়, মনোজিত ওই ছাত্রীকে কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিন থেকেই অনুসরণ করত। ছাত্রীটি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে, তাকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। মনোজিত মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাবেক ইউনিট সভাপতি এবং বর্তমানে কলেজের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী। রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব কাজে লাগিয়ে সে কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বজায় রেখেছিল। ঘটনার আগে মেয়েটিকে কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারির পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে ওই কলেজে কোনো অফিসিয়াল ছাত্রসংগঠনই নেই দীর্ঘদিন ধরে। পুলিশ ওই নিরাপত্তাকর্মীর রুম থেকে বিছানার চাদর ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করে ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত মনোজিতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অনেক মামলা নারীদের হেনস্তা ও ভয় দেখানোর অভিযোগ সংক্রান্ত। সে সব মামলায় সে আগেই জামিনে মুক্ত ছিল। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ প্রযুক্তির সাহায্যে মনোজিত ও জায়েবকে ফার্ন রোড থেকে গ্রেফতার করে। প্রমিতকে সেদিন রাতেই তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ এখন মনোজিতের ফোন ও তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে, ভিডিও ছড়ানোর হুমকি বাস্তবায়িত হয়েছে কি না তা জানার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৭:১৫   ১০ বার পঠিত  




আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


কোনদিকে নেতানিয়াহু যুদ্ধ নাকি শান্তি?
কলকাতা আইন কলেজে ছাত্রী ধর্ষণ ধামাচাপা দিতে ধর্ষণের ভিডিও যখন হাতিয়ার
আবারও মিসাইল হামলা ইসরায়েলে, প্রতিশোধের অঙ্গীকার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি হরমুজ প্রণালীতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইরান
জাতিসংঘের রিপোর্ট ইসরাইলের ‘গণহত্যায়’ জড়িত কোম্পানিগুলোর নাম প্রকাশ
ইসরাইলের হামলায় ইরানে ৯৩৫ জন নিহত
এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
হারেৎস পত্রিকার সম্পাদকীয় গাজার ত্রাণকেন্দ্রগুলো মৃত্যুকূপ, এখনই হত্যা বন্ধ করতে হবে
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে আসাম ও মিজোরামের কঠোর পদক্ষেপ
ইসরাইলের গাজা আগ্রাসনে ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত: হারেৎজ

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ