
বিশ্ববাসী আরেকটি ‘নাকবা’র সাক্ষী হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের একটি বিশেষ কমিটি। শুক্রবার ওই কমিটির তরফে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘জাতি নির্মূলের’ অভিযোগ আনা হয়। আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘অকল্পনীয় দুর্ভোগ’ ডেকে এনেছে ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এ সপ্তাহের শুরুতে গাজার উত্তর থেকে লাখ লাখ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিকে বহিষ্কার ও তাদেরকে ছয়টি শিবিরে আটকে রাখার পরিকল্পনা করে ইসরাইল। ওই পরিকল্পনার পরই এমন মন্তব্য করলো জাতিসংঘের বিশেষ কমিটি। এদিকে ফিলিস্তিনিদের যেকোনো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি তাদের মনে ‘নাকবা‘ বা ‘বিপর্যয়ের’ স্মৃতি জাগিয়ে তোলে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় গণহারে ফিলিস্তিনিদের স্থানচ্যুতি ঘটে।
কমিটির তরফে বলা হয়, আমরা যা লক্ষ্য করছি তাতে মনে হচ্ছে, বিশ্ববাসী আরেকটি ‘নাকবা’র সাক্ষী হতে যাচ্ছে। আরও বলা হয়, ইসরাইল সরকারের অগ্রাধিকার হলো বৃহত্তর ঔপনিবেশিক সম্প্রসারণ। গাজায় ইসরাইলি বসতি স্থাপনের লক্ষ্যে নিরাপত্তা অভিযানের নামে স্থানচ্যুতি, ধ্বংস ,ভূমি দখল ও উচ্ছেদের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসরাইল। কমিটির তরফে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়।
আরও বলা হয়, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের প্রমাণ আছে। নির্যাতন চালানো যেন ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তাবাহিনীর নিয়মতান্ত্রিক অনুশীলন। গাজায় খাদ্য সামগ্রী প্রবেশে ইসরাইলের বাধা নিয়ে বলা হয়, এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করাও কঠিন যেখানে এতগুলো মানুষকে অনাহারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যেখানে খাবারের ট্রাকগুলো মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই অবস্থান করছে। তবে এটিই গাজার বাস্তবতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৯:০৩ ৫ বার পঠিত