
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। যুদ্ধকালে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের সংখ্যা সাত থেকে বাড়িয়ে আট করেছেন। তিনি বলেন, এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে শুধু তখন, যখন তিনি তাদের বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের হুমকি দেন। ট্রাম্প এই দাবি আবারও তুলে ধরলেন মিয়ামিতে অনুষ্ঠিত আমেরিকা বিজনেস ফোরামে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
ট্রাম্পের মতে, কসোভো-সার্বিয়া এবং কঙ্গো-রুয়ান্ডার মতো অন্যান্য সংঘাতের পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান ঘটনা ছিল সেই ৮টি সংঘাতের মধ্যে একটি, যেগুলো তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর থামিয়েছেন। তিনি নিজেকে গ্লোবাল শান্তির ফেরিওয়ালা হিসাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। ট্রাম্প বলেন, আমি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির মাঝে ছিলাম। হঠাৎ একটি পত্রিকার শিরোনামে পড়লাম, শুনলাম তারা যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছে। সাতটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, আর অষ্টমটি গুরুতরভাবে ক্ষত হয়েছে।
মূলত আটটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি বললাম, এটা যুদ্ধ, তারা লড়ছে। তারা দুই পারমাণবিক দেশ। আমি বললাম, যদি তোমরা শান্তি করতে না চাও, তবে আমি তোমাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি করব না। তিনি আরও দাবি করেন, দিল্লি ও ইসলামাবাদ এমন হুমকি অগ্রহণযোগ্য বলেছিল এবং তাদের সংঘাতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে। ট্রাম্প বলেন, দুই দেশ বলল ‘কোনওভাবেই নয়। এর সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই।’ আমি বললাম, ‘সবই সম্পর্কিত।
তোমরা পারমাণবিক শক্তি। আমি তোমাদের সঙ্গে চুক্তি করব না, যদি একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করো।’ পরের দিন আমাকে ফোন করা হয় যে দুই দেশ শান্তি করেছে। আমি বললাম, ‘ধন্যবাদ। চলুন চুক্তি করি।’ দারুণ না? শুল্ক ছাড়া, এটা কখনই হতো না।’ ট্রাম্পের এই বক্তব্যে দর্শকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই দাবিকে অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, মেয়াদভিত্তিক যুদ্ধবিরতি ১০ই মে অর্জিত হয়। পাকিস্তানি কমান্ডাররা ভারতীয় সমকক্ষদের কাছে হামলা বন্ধ করার জন্য আবেদন করেন। তবুও, ট্রাম্প তার দাবিটি পুনরায় উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন, মে মাস থেকে তিনি বারবার বলছেন যে, ভারত ও পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতের আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৪:০২ ১৩ বার পঠিত