
রাতভর ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে গাজায়। এরপর মঙ্গলবার সকালে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন ‘গাজা জ্বলছে’। রাতভর ভারী হামলায় গাজা সিটি লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পর। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল ক্যাটজের এই মন্তব্য আসে এমন সময়ে, যখন ইসরাইল গাজা সিটিকে কেন্দ্র করে নতুন এক সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, ইসরাইল থেকে কাতারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, ইসরাইল ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে। তিনি বলেন, ইসরাইলিরা সেখানে অভিযান শুরু করেছে। আমাদের ধারণা, একটি চুক্তি হওয়ার জন্য খুবই স্বল্প সময় হাতে আছে। আমাদের আর মাস নেই, হয়তো কেবল কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী কয়েক ঘণ্টা ধরে কোনো মন্তব্য করেনি যে আসলেই অভিযান শুরু হয়েছে কি না।
নেতানিয়াহু ও রুবিও দু’জনেই সোমবার বলেন, গাজার সংঘাত শেষ করার একমাত্র উপায় হলো হামাসকে ধ্বংস করা এবং অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্ত করা- যার মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতির আহ্বান সরিয়ে রেখে দ্রুত সংঘাতের অবসান দাবি করেন। অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে, তারা কেবল অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের শর্তে। গাজায় যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরাইলে ঢুকে পড়ে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে- অধিকাংশই ছিল বেসামরিক এবং ২৫১ জনকে অপহরণ করে। এরপর থেকে বেশির ভাগ জিম্মিকে কাতার-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি বা অন্যান্য চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরাইলের পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ৬৪,৮৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে কতজন বেসামরিক আর কতজন যোদ্ধা তার বিভাজন মন্ত্রণালয় জানায়নি। হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার পরিচালিত এই মন্ত্রণালয়, যেখানে চিকিৎসকরা কাজ করেন, বলছে নিহতদের প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৬:১৭ ২০ বার পঠিত