
মিয়ানমারের বন্দি শিবিরগুলোতে পরিকল্পিত নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। এতে দেশটির কর্মকর্তরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। বন্দিদেরকে প্রহার এবং বৈদ্যুতিক শকের মতো ভয়াবহ নির্যাতন করার কথা জানিয়েছে দ্য ইনডিপেনডেন্ট ইনভেসটিগেটিভ ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম)। তারা জানিয়েছে, কারও কারও নখও তুলে ফেলা হয়েছে। মিয়ানমারের জন্য জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রধান নিকোলাস কোয়ুমজিয়ান বলেন, আমাদের কাছে বেশ কিছু প্রমাণ আছে। এমন ভয়াবহ নির্যাতনে বেশ কয়েকজন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পিতা-মাতাদের না পেয়ে শিশুদের আটক করার প্রমাণও পাওয়া গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতিসংঘের দল এ বিষয়ে তথ্যের জন্য দুই ডজন আবেদন করলেও এর কোনো জবাব দেয়নি মিয়ানমার সরকার। দেশটির সামরিক বাহিনীও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারা নৃশংসতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলেছে, তারা শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এছাড়া অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য সন্ত্রাসীদেরকে দায়ী করেছে। কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০ সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে ওই অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। আইআইএমএম জানিয়েছে, অপরাধীদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কমান্ডাররা রয়েছে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুথানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সরকারকে উৎখাত করা হয়। এতে দেশব্যাপী সংঘাত শুরু হয়। গত মাসে জান্তা প্রধান মিং অং হ্লাইং চার বছরের জরুরি অবস্থার অবসান ঘটান এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করেন। আইআইএমএম ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমারে সংঘটিত নির্যাতনের বিষয়গুলিকে অন্তর্ভূক্ত করেছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন অন্যতম। যেখানে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০:২৬:৪৭ ৭২ বার পঠিত