
ইসরাইলের হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। জুনে ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের সময় পেজেশকিয়ানকে হত্যার চেষ্টা করে তেল আবিব। এ বিষয়টি আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। তবে তখন তার আহত হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে শনিবার ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ১৭ জুন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সুপ্রিম কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ। সেসময় বৈঠকের স্থান লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় ইসরাইল। এতে সামান্য আহত হন পেজেশকিয়ান।
ওই বৈঠকে আরও তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের নিয়ে পশ্চিম তেহরানের ভূগর্ভস্থ একটি স্থানে বৈঠক করছিলেন মাসুদ। ফার্স নিউজ বলছে, মাসুদ পেজেশকিয়ানকে হত্যা করতে অন্তত ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছে দখলদাররা। আগে লেবাননের যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতৃত্বকে হত্যাচেষ্টায় যে কৌশল নেয়া হয়, ইরানের ক্ষেত্রেও একই সে কৌশল নেয় ইসরাইল। তবে তেহরানে তাদের হামলা সফল হয়নি।
ইসরাইলের হামলা শুরু হওয়ার পর পূর্বনির্ধারিত জরুরি বহির্গমন পথ দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন ইরানের কর্মকর্তারা। দেশটি সন্দেহ করছে প্রেসিডেন্টের অবস্থান আগে থেকেই কোনো এজেন্ট কর্তৃক ফাঁস হয়েছিল। অন্যথায় এভাবে নিঁখুত নিশানা করা অসম্ভব।উল্লেখ্য, ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ মোট ১২ দিন স্থায়ী হয়। যা ১৩ই জুন একতরফা হামলার মাধ্যমে সূচনা করে ইসরাইল। তাদের হামলায় ইরানের ছয় শতাধিক নাগরিক নিহত এবং ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হন। এর মধ্যে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী ও উচ্চ-পদস্থ সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন।
পক্ষান্তরে ইসরাইলে স্মরণকালের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠা লক্ষ্য করে তেহরানের ওই হামলায় অভূতপূর্ব ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তেল আবিব। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার তথ্যমতে, অন্তত ২৯ ইসরাইলি প্রাণ হারায়। আর আহত হয় ৩ হাজার ৪০০ মানুষ। যদিও ধারণা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। প্রাথমিকভাবে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার পথে ছিল। পরে নানা নাটকীয়তার পর ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় মধ্যপ্রাচ্যের ওই দুই দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৯:৪৮ ৫২ বার পঠিত