
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে এক নারী ভুল ট্রেনে উঠে পড়ে। টাঙ্গাইল পৌঁছালে বিষয়টি টের পান তিনি। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানালে নারীটিকে ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দেয় এক সিএনজি চালককে। তবে ভুক্তভোগীকে ট্রেনে না উঠিয়ে সিএনজি চালকসহ তিনজন তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে নিজ নিজ বাড়ি থেকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল সদর থানার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু চন্দ্র দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র (২৮), হালিম খানের ছেলে সজিব খান (১৯) এবং মৃত কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়া (২৭)। তারা পেশায় সিএনজি চালক।
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার রাতে ওই নারী ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগর থেকে ঢাকা এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনে আসেন। সেখান থেকে তিনি ভুলবশত উত্তরবঙ্গগামী দ্রুতযান ট্রেনে উঠে পড়েন। পরে তিনি অন্য যাত্রীদের কাছ থেকে টাঙ্গাইল চলে আসার কথা জানতে পারেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই নারী বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানান।
পুলিশ আরও জানায়, ভুল জায়গায় চলে আসার কথা জানার পর জিআরপি পুলিশের এক সদস্য দুলাল নামে এক সিএনজি চালককে ওই নারীকে ঢাকার ট্রেনে ওঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু দুলাল ওই নারীকে স্টেশনের পিছনে কাঠবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে স্টেশন সংলগ্ন ব্রাহ্মণকুশিয়া এলাকার রুপু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে রুপু ও সজিব খান ধর্ষণ করে।
বাহিনীটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, শনিবার ভোরে ওই নারী রেল পুলিশকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই নারী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০২:১৭ ১৮ বার পঠিত