
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। শুক্রবার উদ্বেগ জানিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বিবৃতি দিয়েছে সংস্থাটি। সেখানে বলা হয়েছে, একদল বিক্ষুব্ধ জনতা কর্তৃক দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় সিপিজে উদ্বিগ্ন। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক কার্যালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
বিবৃতিতে সিপিজে জানায়, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
সিপিজে আরও জানায়, রাজনৈতিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ কাভার করতে গিয়ে সাংবাদিকরা প্রায়ই গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়েন। বিক্ষোভ ও জনসমাবেশ অত্যন্ত দ্রুত সহিংস রূপ নিতে পারে। ফলে এসব পরিস্থিতিতে কাজ করার আগে সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট পরিবেশ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির জন্য প্রস্তুত থাকা জরুরি।সংস্থাটির সতর্কবার্তায় বলা হয়, বিক্ষোভ ও নাগরিক অস্থিরতার সময় সাংবাদিকরা নজরদারি, গ্রেপ্তার এমনকি লক্ষ্যভিত্তিক হামলার শিকার হতে পারেন। তাই দায়িত্ব পালনের আগে যোগাযোগ পরিকল্পনা, সরঞ্জাম এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা আগেভাগে প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর বিষয়ে গবেষণা করা এবং টিয়ার গ্যাস, সহিংসতা বা গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সিপিজে বলছে, জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় ডিজিটাল ডিভাইস বহনকারী সাংবাদিকদের সতর্ক থাকতে হবে। কেননা এসব ডিভাইস ভাঙা হতে পারে, চুরি হতে পারে বা জব্দ করা হতে পারে। এ ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সাংবাদিকদের জন্য একাধিক নির্দেশনা ও সহায়ক উপকরণ প্রস্তুত করেছে সংস্থাটি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোনো দায়িত্ব পালনের আগে সাংবাদিকদের সম্ভাব্য হুমকি চিহ্নিত করতে একটি ঝুঁকি মূল্যায়ন সম্পন্ন করা এবং সে অনুযায়ী একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩০:৩৮ ১১ বার পঠিত