
অনেক ফিলিস্তিনি পরিবারের জন্য আনন্দের দিন। কেউ কেউ দীর্ঘ বছর ইসরাইলি কারাগারে থাকা তাদের সন্তানকে বাড়িতে স্বাগত জানানোর প্রস্তুত। অন্যদের জন্য পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত। কারণ, পরিবারগুলো জানে না তাদের প্রিয়জনকে কোথায় পাঠানো হবে। তারা গাজায় ফিরবেন, দখল করে নেয়া পশ্চিমতীরের দিকে পাঠানো হবে, নাকি বহিষ্কৃত হবে। এই বিষয়গুলো এখনও স্পষ্ট নয়। ইসরাইলের নিরাপত্তা সংস্থা ও সরকার এই বহিষ্কার প্রক্রিয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। অতীতে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে বাধা দেয়ার জন্য এমন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হতো।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। পূর্বের বন্দি বিনিময় চুক্তিতে, পরিবারগুলো অপেক্ষা করতেন, তারপর জানতেন যে তাদের স্বজন পশ্চিমতীর ত্যাগ করতে পারবে না এবং অন্যত্র বহিষ্কৃত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না। আজ মুক্ত হওয়া অনেকেই অনুরূপ সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হবেন। তারা পশ্চিম তীরে ফিরে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। কিছু পরিবারের জন্য এই মুহূর্ত অনেক দেরিতে এসেছে। আইদা শরণার্থী শিবিরের এক বন্দির মা ৩২ বছর ধরে ছেলের মুক্তির অপেক্ষায়। ছেলেকে মুক্ত দেখার আগেই তিনি আগস্টে মারা গেছেন। অনেকের জন্য এই দিন আনন্দ ও শোকের সমন্বয়ে ভরা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৫:৩৩ ২৬ বার পঠিত