
গুলশানে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভূঁইয়া। এ মামলায় জামিন আদেশ হওয়ার পর তাকে গুলশান থানার আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ।
বুধবার আদালতে প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন বলেন, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত থেকে আহসান হাবিব ভূঁইয়া জামিন পান। তার আইনজীবী ওমর ফারুক জামিননামা দাখিল করেন। তবে বিকালে বনানী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় এ আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামার হোসেন।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে আগামী সোমবার শুনানির দিন ঠিক ধার্য করেছেন।
শনিবার ভোর ৬টার দিকে গুলশানের ১১৮ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে গ্রেফতারের পর ওইদিনই আহসান হাবিবকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর দুদিন পরই তার জামিন মঞ্জুর হয়। তবে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন থাকায় আহসান হাবিব কারামুক্ত হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন।
গুলশান থানার মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুলশানের ফজলে রাব্বী পার্কের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার হাতে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। এসময় তারা গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে পালানোর চেষ্টাকালে পাঁচজনকে গ্রেফতার এবং তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এসব ফোনে ব্যবহৃত মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম গ্রুপে আসামিরা রাষ্ট্রকে ‘অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে’ নিজেরা সংগঠিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে বলে পুলিশ দেখতে পেয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানার এসআই মাহাবুব হোসাইন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টির দিকে বনানীর ১১ নং ও ৬ নং সংযোগস্থলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী লাঠি সোঠা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছিল। এ ঘটনায় পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বনানী থানায় মামলা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৮:৪৫ ২৯ বার পঠিত