![]()
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ব্যাপারে জমা হওয়া আবেদনের ওপর শুনানির প্রথম দিনে রোববার নির্বাচন কমিশনে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ইসির ভেতর ও বাইরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা নিয়ে শুনানি চলাবস্থায় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির একাংশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কয়েক নেতার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ পুরো কমিশনের সামনেই দুই পক্ষ মারামারিতে জড়ালে ইসির কর্মকর্তা ও পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতির সমর্থকদের ইঙ্গিত করে তাদের দায়ী করেন। অপরদিকে ওই ঘটনায় এনসিপি ইসিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে। ঘটনার জন্য রুমিন ফারহানাকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে।
মারধরের শিকার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনি আসন শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছি। একে একে অনেকেই শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। তারা যুক্তিতর্ক তুলে ধরেছেন। আমি যখন শুনানিতে কথা বলতে যাব, ওই মুহূর্তে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছেন। তার গুন্ডাবাহিনী নিয়ে টেনেহিঁচড়ে আমাকে পায়ের নিচে ফুটবলের মতো লাথি মেরেছে। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে ছিলেন। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। সেটা যদি না হয়, তাহলে সিইসির পদত্যাগ করতে হবে। এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় গুন্ডাপান্ডারা কীভাবে জাতীয় নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র দখল করবে, তার টেস্ট ম্যাচ হয়েছে। তিনি পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
তবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এ ঘটনার জন্য উলটো তার নিজের দলের নেতাকর্মীদেরই দায়ী করেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-এর যিনি (বিএনপি) প্রার্থী, তিনি তার সদলবলে ২০/২৫ জন মিলে দেখতে গুন্ডাপান্ডার মতো, সেখানে (শুনানিতে) তাদের আচার-আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক, অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমি মনে করি, এটা কমিশনের যে গাম্ভীর্য এবং যে সম্মান, সেটার সঙ্গে এটা যায় না। তিনি বলেন, যেটা ১৫ বছরে হয়নি সেটি আজ হয়েছে। অলমোস্ট আমার গায়ে ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেই বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য গত ১৫ বছর লড়াই করলাম, তারা আমাকে এখন ধাক্কা দেয়। তো ঠিক আছে, ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবে, তাই না? সেটাই হয়েছে। নির্বাচনের আগে একটা সীমানা নিয়ে যদি এরকম আচরণ নিজ দলের মধ্যে হয়, তাহলে নির্বাচনে কী হবে-এমন সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
আতাউল্লাহর ওপর হামলার বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, তিনি পরিচিত মুখ নন। তিনি এনসিপি থেকে এসেছেন, না জামায়াত থেকে এসেছেন, তা আমি জানি না। প্রথমে আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। তারপর তো আর আমার লোকজন বসে থাকবে না। তারাও জবাব দিয়েছেন।
অবশ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ওই ঘটনা রুমিন ফারহানা ও এনসিপি নেতাদের মধ্যে ঘটেছে বলে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, এনসিপির সঙ্গে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার তর্কবিতর্ক হয়েছে, যা দুঃখজনক।
প্রসঙ্গত, খসড়া সংসদীয় সীমানায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের বিপক্ষে ৫টি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের বিপক্ষে ১২৪টি আবেদন জমা পড়ে। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এই খসড়া সংসদীয় আসনের পক্ষে বক্তব্য দেন। অপরদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলসহ স্থানীয় বিএনপি একাংশ এবং এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহসহ আবেদনকারীরা বিজয়নগর উপজেলার ওই ইউনিয়ন পরিষদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ফেরত দেওয়ার পক্ষে বক্তব্য দেন। তারা বিজয়নগর উপজেলাকে অখণ্ড দেখতে চান।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসির পুনর্নির্ধারিত সংসদীয় আসনের সীমানার ওপর রোববার ইসির বেইজমেন্টের হলরুমে চারদিনের শুনানি শুরু হয়। প্রথমদিনে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ফেনীর ১৮টি আসনের ওপর শুনানি হয়। এদিন পুনর্নির্ধারিত আসনের বিপক্ষে ৪২৯টি এবং পক্ষে ৩৮২টি আবেদনের শুনানি হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন, চার কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে অধিবেশনে মারামারির এমন ঘটনা ঘটলেও বাকি দুই অধিবেশন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। মারমারির ঘটনার পর খসড়া সীমানার পক্ষ-বিপক্ষের আবেদনকারীদের বক্তব্য দেওয়ার জন্য হলরুমে দুই প্রান্তে দুটি স্থান নির্ধারণ করে দেয় ইসি।
শুনানির শুরুতে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ইসি পেশাদারির সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে সীমানা নির্ধারণের কাজ করার চেষ্টা করেছি। এ কাজটি করার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছি। আইন অনুযায়ী, খসড়া সীমানার ওপর কারও বক্তব্য থাকে, তা শুনানির বিধান আছে। সেই সুযোগ দেওয়ার জন্য এ শুনানির আয়োজন করা হয়েছে।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, গতকাল শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে শুনানি শুরু হয়। কয়েকজন খসড়া সীমানার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এরপর ব্যারিস্টার রুমিন ফারাহানা খসড়া সীমানা বহাল রাখার পক্ষে কথা বলেন। এরপর খসড়া সীমানার বিরুদ্ধে একে একে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, বিজয়নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম লিটন, বিএনপির সহ-আইনবিষয়ক মো. খুরশীদ আলম, বিজয়নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেনসহ কয়েকজন। একপর্যায়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা দ্বিতীয়বার বক্তব্য দিতে সেখানে অপেক্ষমাণ অন্যরা তাকে সুযোগ দিতে রাজি হননি। এই সময়ে রুমিন ফারহানার সমর্থক ও খসড়া সীমানার বিরোধিতাকারীদের প্রথম হইচই, পরে মারামারি হয়। দুপক্ষের মারামারি চলাবস্থায় ইসির কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেন। শুনানি ওই সময়ের জন্য মুলতবি করা হয়। একপর্যায়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানি শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে তাদের হলরুম ত্যাগ করার অনুরোধ জানান। এদিকে এই ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনের বাইরে সড়কে অবস্থানরত ওই আসনের পক্ষে-বিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যেও হাতাহাতি, মারামারির ঘটনা ঘটে। হলরুম থেকে বেরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের তিনটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই তিনটি ইউনিয়নের লোকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যেতে চান না। বিভিন্ন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে নতুন সীমানা করা হয়েছে। আমরা আগের আসন বহাল রাখার দাবি জানিয়েছি। তিনি বলেন, শুনানিতে কিছু হট্টগোল হয়েছে। আমাদের বিবাদী পক্ষ (প্রতিপক্ষ) অনেক ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছেন, যা যৌক্তিক নয়। মারামারির বিষয়ে তিনি বলেন, এনসিপির সঙ্গে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার তর্কবিতর্ক হয়েছে, যা দুঃখজনক। এই লেভেলে এসে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক।
ঘটনার বিষয়ে আতাউল্লাহ বলেন, শুনানিতে রুমিন ফারহানা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। কিন্তু যখন আমি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে যাই, তখন রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে স্টেজ দখলে নেন। পরে তার নেতাকর্মীরা আমাকে ফুটবলের মতো লাথি দেওয়া শুরু করেন। যেভাবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ক্যাম্পাসে পিষত, সেভাবে সবার সামনে আমাকে নিচে ফেলে পিষছে। আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেছে। হাতে আঘাত করা হয়েছে। আতাউল্লাহর দেখানো একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রুমিন ফারহানা স্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পেছন আতাউল্লাহ নিচে পড়ে আছেন। তাকে কয়েকজন লাথি-কিল-ঘুসি দিচ্ছেন।
পরে এ ঘটনার বিষয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী আমি মনে করেছি, আমার কেস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করব। সো আমার কেস আমি প্রেজেন্ট করেছি। … ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর যিনি প্রার্থী তিনি সদলবলে ২০-২৫ জন মিলে গুন্ডাপান্ডার মতোন আচার-আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমি মনে করি এটা কমিশনের যে সম্পত্তি যে গাম্ভীর্য এবং যে সম্মান সেটার সঙ্গে এটা যায় না। তিনি বলেন, অলমোস্ট আমার গায়ে ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেই বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য গত ১৫ বছর লড়াই করলাম তারা আমাকে এখন ধাক্কা দেয়। তো ঠিক আছে ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই, সিম্পল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমি কোনো গুন্ডা বদমাশের মেলা করিনি। করতে চাইলে করতে পারতাম। গুন্ডা আনতে চাইলে গুন্ডা আনা যায়। অসুবিধা হয় না। আমি ভদ্রলোক নিয়ে এসেছি। রায় হবে। যেটা রায় হয় হবে। কিন্তু তারা যেহেতু গুন্ডাপান্ডা নিয়ে এসেছে এবং আবলতাবল বকছে।
বিএনপির আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদক রয়েছেন অনেকেই-হাসনাত আবদুল্লাহ : ওই ঘটনার পর বিকালে নির্বাচন কমিশনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপি। এতে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আবার কোনো মঞ্চস্থ নির্বাচনের দিকে যেতে চায় না। বিএনপির আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদক রয়েছেন অনেকেই। যারা আওয়ামী লীগ থেকে বেশি আওয়ামী লীগ। বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, আওয়ামী লীগের ফ্ল্যাটভোগী এবং যারা গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঠান্ডা করে দিতে চায়। আমরা এই বিএনপির আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদকদের বলব, আপনারা জনগণের পালস বুঝুন। চব্বিশ পরবর্তী জনগণের পালস বুঝুন। নতুবা আবার বাংলাদেশ সংকটের দিকে যাবে।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বলেন, আজকে আমি যখন শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য আসি। আমাকে এখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এখানে গুন্ডাপান্ডা দিয়ে এরকম এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে আমাকে পেছন থেকে বারবার টেনেহিঁচড়ে গেট থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারপরে একটা পর্যায়ে আমি গেটের ভেতরে প্রবেশ করি। তারপর ১২টার আগে আমি প্রবেশ করি। আমি দেখি যে এখানে বিএনপিসহ রুমিন ফারহানার লোকজন। তারা শুনানিতে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন। একটা পর্যায়ে যখন আমার সময় আসে, আমি শুনানিতে দাঁড়াই। দাঁড়ানোর পরে আমাকে রুমিন ফারহানা তেড়ে গিয়ে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। আমাকে কথা বলতে দেননি এবং তার যে গুন্ডাপান্ডা ছিল তারা আমাকে পায়ের নিচে ফেলে নির্মমভাবে মারধর করে। তারা টার্গেট করে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এখানে মারধর করতে চেয়েছে। যাতে আমরা আমাদের যুক্তি উপস্থাপন না করি, আমরা যাতে কথা না বলি।
বাইরেও হট্টগোল : নির্বাচন ভবনের বাইরেও হট্টগোল হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারী একটি দলকে গেটের সামনে থেকে সরিয়ে দেন। নির্বাচন ভবনের সামনে জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়। পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ ২০ আসনের আবেদনের ওপর শুনানি : আজ দ্বিতীয় দিনে সাতক্ষীরা, যশোর, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ২০টি আসনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
রুমিন সমর্থকদের মহাসড়ক অবরোধ, এনসিপির বিক্ষোভ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে হামলার অভিযোগে রোববার বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর প্রথমগেট এলাকা অবরোধ করে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে রুমিন ফারহানার সমর্থকেরা। অন্যদিকে হামলার প্রতিবাদে জেলা এনসিপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বক্তব্য দেন নবীনগর উপজেলার সমন্বয়ক আলমগীর হোসাইনসহ অন্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫১:৩৭ ৮৯ বার পঠিত