
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাবেক সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েলসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছে সংগঠনটির সাবেক সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি।
খুলনা মহানগর আদালতের বিচারক রোববার (১৮ আগস্ট) মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
মামলার আসামিরা হলেন, কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সাবেক সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল, সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ, সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান মোড়ল, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, রইজ হাওলাদার, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল সুজন, সাবেক কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক, খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) খুলনার ইকবাল বাহার চৌধুরী, সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, সাবেক এডিসি গোপিনাথ কানজিলাল, সাবেক ডিবি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, জহিরুল ইসলাম, আমজাদ, আবুল কালাম আজাদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, ঢামেক ছাত্রলীগের ক্যাডার ডা. সিয়াম, ছাত্রলীগ ক্যাডার ও পরিচালক ডিএমসি স্কলারস ডা. মঈনুল, শেখ ওমর আলী, আবজাল শিকারী, মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, রতন সরদার, সোহেল হাসান রুমি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ খুলনা মহানগর সভাপতি আসাদুজ্জামান রাসেল, কেসিসির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহাদাত হোসেন মিনা, ইসমাইল, শিপার, এবিএম সাত্তার, মো. মিজান শেখ, শফিকুল ইসলাম, রতন মন্ডল, মো. জসিম শিকদার, মো. সাবুদ্দিন, মোহাম্মদ শিকদার, নাসির, মো. খায়রুল বাসার, মো. নাজির হোসেন, মো. কামাল হোসেন, মো. শরিফুল ইসলাম, শাহাজাদা খান, নজরুল ইসলাম, শরীফ আতিয়ার রহমান, রাজ্জাক, সুজা, সৈয়দ মুরসালিন প্রিন্স এবং শেখ শামীম।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই দুপুর ১২ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মার্চ ফর জাস্টিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি সাত রাস্তা মোড় পৌঁছালে ১ থেকে ১০ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্যান্যরা ছাত্রদের লক্ষ্য করে শর্টগান, পিস্তল, বোমা এবং ইট নিয়ে হামলা করে। হামলায় ছাত্ররা রক্তাক্ত জখম হয়। প্রাণ ভয়ে তারা এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। রাস্তায় পড়ে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উদ্ধার করে আশপাশের ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েও তারা হামলা চালায়। পরে তাদের প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট মামলা দায়েরের জন্য খুলনা থানায় উপস্থিত হলে সেখানকার কর্মকর্তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে ১২ আগস্ট খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার জন্য আবেদন করা হয়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন বলেন, রোববার মামলার আরজি আদালত গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৩৬:৫৬ ১১৬ বার পঠিত