
বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপ মার্কিন শেয়ার বাজারে বিরাট ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, প্রায় প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। নিজের অধীনে মার্কিন অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথের এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আদালত যদি তার শুল্ক আরোপের ন্যায্যতা প্রমাণের জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার বাতিল করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ১৯২৯ সালের মতো মহামন্দা ডেকে আনবে। যদিও এবারের গ্রীষ্মে দেশটির শেয়ার বাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ উল্লম্ফন হয়েছে তবে বিশ্লেষকদের দাবি তা শুল্ক আরোপের ফলে নয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।
বিলম্বে পাওয়া এই খবর থেকে জানা যায়, ৮ আগস্ট ট্রুথ সোশ্যালে নিজের পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই গেয়ে দীর্ঘ এক পোস্ট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, যদি কোনো র্যাডিক্যাল বাম আদালত আমাদের বিরুদ্ধে রায় দেন তাহলে আমেরিকার বৃহৎ অর্থ, সম্পদ সৃষ্টি এবং এর প্রভাব ধ্বংস হবে। আর এই বিশাল অঙ্কের অর্থ এবং সম্মান পুনরুদ্ধার করা বা ফেরত আনা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যা ১৯২৯ সালকে ডেকে আনবে। সম্ভাব্য ওই রায়কে দুর্দান্ত হতাশা বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
মে মাসে ট্রাম্প তার আইনি কর্তৃত্ব লঙ্ঘন করে বিদেশি পণ্যে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন বলে রায় দেয় দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের আপিল শুনানি করে ফেডারেল আপিল আদালত। সেখানে ১১ জন বিচারকের একটি প্যানেল সন্দেহ প্রকাশ করে যে আইনটি ট্রাম্পকে আক্রমণাত্মকভাবে শুল্ক আরোপের ক্ষমতা দিয়েছে। যদিও আপিল আদালত এখনও এ মামলার রায় দেননি। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।শুক্রবার দেয়া পোস্টে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে তার ক্ষমতার বিরুদ্ধে রায় দেয়া হলে তা ‘বিচারিক ট্রাজেডি’ হবে। যা পুনরুদ্ধার করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে পথ খোলা থাকবে না। ট্রাম্প বলেন, তারা যদি আমেরিকার সম্পদ, শক্তি এবং ক্ষমতার বিরুদ্ধে শাসন জারি করতো তাহলে তাদের অনেক আগেই তা করা উচিত ছিল, মামলার আগেই।ট্রাম্পের এই মন্তব্য কিছু পর্যবেক্ষককে হতাশ করেছে। কেননা একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের পক্ষে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করা অস্বাভাবিক। ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে মার্কিন অর্থনীতির জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন তারা। বি. রিলে ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের বাজার বিষয়ক স্ট্রাটেজিস্ট আর্ট হগান সিএনএনকে বলেন, যদি আদালত শুল্ক নামিয়ে দেয়, এটা জটিল হবে তবে সেখানে ইতিবাচক বিষয়ও থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২২:০১ ৬৯ বার পঠিত