
চাঁদপুরের হাইমচরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে শ্বশুর শাশুড়িকে যাবজ্জীবন ও দেবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (আদালত-১) আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।
হত্যার শিকার গৃহবধূ ফাতেমা (২৫) প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী। নারায়ণগঞ্জ জেলার গোরাকান্দাইল এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ফাতেমার দেবর রিপন গাজী (৪০), শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম গাজী এবং শ্বাশুড়ি শাহানারা বেগম। এদের মধ্যে রিপন গাজীকে মৃত্যুদণ্ড এবং সিরাজুল ও শাহানাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবরে পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমার সঙ্গে শ্বাশুড়ির কথা কাটাকাটি হয়। এরপর একপর্যায়ে ফাতেমাকে মারধর করে আসামিরা। ঘটনাস্থলেই ফাতেমার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ গুম করার জন্য বাড়ির পুকুরে নিয়ে রাখা হয়। ঘটনার পরদিন বাড়ির লোকজন লাশটি উদ্ধার করে। এই হত্যার ঘটনায় ফাতেমার ভাই ইউসুফ খান বাদী হযে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় তৎকালীন হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৮:২০ ৬১ বার পঠিত