আকস্মিক ট্রাম্প-ট্রুডো নৈশভোজ

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » আকস্মিক ট্রাম্প-ট্রুডো নৈশভোজ
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪



আকস্মিক ট্রাম্প-ট্রুডো নৈশভোজ

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকিতে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে ফ্লোরিডা গিয়ে উপস্থিত হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুক্রবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের অবকাশযাপন কেন্দ্র মার-এ-লাগোতে তাদের নৈশভোজ হয়। ট্রাম্প শুধু কানাডার পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকিই দিয়েছেন এমন নয়। একই হুমকি আছে মেক্সিকোর বিরুদ্ধেও। এর ফলে ট্রাম্পের সঙ্গে ট্রুডোর সাক্ষাতের বিষয়টি প্রকাশ পায় এ সপ্তাহান্তে আকস্মিকভাবে। তবে ট্রাম্প যে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন তাতে মার্কিন ভোক্তাদেরকে কঠোর অবস্থায় পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে আরো বলা হয়, শুক্রবার দিনের শেষের দিকে মার-এ-লাগোতে উপস্থিত হওয়ার আগে ওয়েস্ট পাম বিচে একটি হোটেলে হাস্যোজ্জ্বল ট্রুডোকে দেখা যায়। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর আগেই উচ্চ পর্যায়ের যেসব অতিথির সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়েছে- ট্রুডো তাদের অন্যতম। রিপোর্টে বলা হয়, আকস্মিক ফ্লাইট ট্র্যাকারগুলো ট্রুডোকে বহনকারী বিমান দেখতে পায়। পরে কানাডা সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, দুই নেতা এ রাতে একসঙ্গে নৈশভোজ করেছেন। এর আগে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বড় বাণিজ্যিক অংশীদারকে আতঙ্কিত করে তোলেন ট্রাম্প। তিনি ঘোষণা দেন- মেক্সিকো ও কানাডা থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তিনি শতকরা ২৫ ভাগ এবং চীন থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শতকরা ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ করবেন। মাদক ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে ‘আগ্রাসন’ বন্ধে যথেষ্ট করছে না বলে তিনি দেশগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। মাদক বলতে তিনি বিশেষত ফেনটানাইলের কথা বুঝিয়েছেন এবং নিবন্ধনহীন অভিবাসীদের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন। ওদিকে বুধবার টেলিফোনে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাম। তবে তাদের কথোপকথন ছিল ব্যাপকভাবে ভিন্ন। ট্রাম্প দাবি করেন মেক্সিকোর বামপন্থি প্রেসিডেন্ট মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসন বন্ধে একমত হয়েছেন। কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে তিনি এটা করবেন। কিন্তু পরে প্রেসিডেন্ট শেইনবাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনবিরোধী নীতিকে তিনি সমর্থন করেন। এরপর শুল্ক বাড়ানো নিয়ে আর কোনো কথা হয়নি। ফলে বাণিজ্যিক লড়াইয়ের বিষয়টি কমে গেছে। একই দিনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করেন যে, ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির ফলে অটোয়া ও মেক্সিকো সিটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি এর পাল্টাপাল্টি ফল আছে। উল্লেখ্য, গত বছর কানাডা থেকে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে তার তিন-চতুর্থাংশ গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই বাণিজ্যের ওপর কানাডায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান। ওদিকে কানাডা সরকারের একটি সূত্র এএফপিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করলে কানাডাও পাল্টা ব্যবস্থা বিবেচনা করবে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি ভবিষ্যত বাণিজ্যিক সমঝোতার পথকে উন্মুক্ত করতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এমন দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৭:৪৬   ২০১ বার পঠিত  




আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


চিকুনগুনিয়া বাংলাদেশসহ চার দেশে মার্কিন ভ্রমণ সতর্কতা
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের প্রতি ভারত কি অবস্থান বদলাচ্ছে?
অমুসলিম বিদেশিরাও সৌদিতে মদ কিনতে পারবেন, তবে…
আল জাজিরার বিশ্লেষণ ৫০ বছরে ‘ওয়ার অন ড্রাগস’ থেকে কী পেলো যুক্তরাষ্ট্র?
পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সৈন্যদের গুলি, নিহত ফিলিস্তিনি কিশোর ও পথচারী
ফ্যাক্ট-চেকার, কনটেন্ট মডারেটরদের ভিসা নিষিদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র
সংকীর্ণ রশির ওপর ভারসাম্য রক্ষা কেন পুতিনের সফর ভারতের পররাষ্ট্রনীতির এক মহাশিক্ষা
ভারতে অবস্থান প্রসঙ্গে  হাসিনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে : জয়শঙ্কর
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক রিপোর্ট ‘সভ্যতাগত বিলুপ্তির’ মুখোমুখি ইউরোপ
আল জাজিরার বিশ্লেষণ ভারতকে বাদ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন জোট চায় পাকিস্তান, সম্ভাবনা কতোটুকু?

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ