
রাশিয়ার গোয়েন্দা জাহাজ ইয়ান্তার বৃটিশ জলসীমার কাছে কয়েক সপ্তাহ ঘোরাঘুরি করার পর নজরদারিতে থাকা রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) পাইলটদের দিকে লেজার নিক্ষেপ করায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লন্ডন। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বুধবার বলেন, প্রয়োজনে তারা ‘সামরিক ব্যবস্থা’ নিতে প্রস্তুত। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
হিলি জানান, ইয়ান্তারকে নজরদারিতে রাখতে নৌবাহিনীর একটি ফ্রিগেট এবং আরএএফের পি–৮ বিমান মোতায়েন করা আছে। জাহাজটি সমুদ্রতলের কেবল ও যোগাযোগব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য পরিচিত। তিনি বলেন, রাশিয়া এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলতে চাই, আমরা সব দেখছি। আমরা জানি ইয়ান্তার কী করছে। জাহাজটি যদি দক্ষিণ দিকে এগোয়, আমরা প্রস্তুত।
হিলির মতে, এই ঘটনার পর নৌবাহিনীর নজরদারির নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে জাহাজটির গতিবিধি আরও কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। তিনি বলেন, ইয়ান্তার দিক পরিবর্তন করলেই আমাদের সামরিক ব্যবস্থা কাজে লাগানো হবে।
বৃটিশ সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবেই সীমান্তের কাছে থাকা সম্ভাব্য হুমকি নজরদারি করে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রুশ জাহাজ ও সাবমেরিনের উপস্থিতি আরও বেড়ে গেছে।
এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। তারা বলেছে, বৃটেনের অভিযোগ অযৌক্তিক। রাশিয়ার কার্যক্রমে বৃটেনের কোনো ক্ষতি হবে না। রাশিয়া দাবি করেছে, তারা বৃটেনের সমুদ্রতল যোগাযোগব্যবস্থায় আগ্রহী নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৪:৩৯ ২৬ বার পঠিত