শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন ঘোষণা হবে ১৩ নভেম্বর

প্রথম পাতা » জাতীয় » শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন ঘোষণা হবে ১৩ নভেম্বর
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫



শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন ঘোষণা হবে ১৩ নভেম্বর

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিচারকাজ শেষ হয়েছে। এই মামলার রায় কবে হবে তা আগামী ১৩ নভেম্বর জানা যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন।

এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, এ হত্যাযজ্ঞ হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। শেখ হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি না হলে শহীদ আহতরা অবিচারের শিকার হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করেছিলাম, শেখ হাসিনা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হবেন। কারণ তিনি অন্যের উদ্দেশে বলেছিলেন, সাহস থাকলে বিচারের মুখোমুখি হন। কিন্তু তিনি এই কথা মন থেকে বলেননি। বললে আজ দেশের মাটিতে এসে বিচারের মুখোমুখি হতেন।

এর আগে বুধবার গতবছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে হাসিনা-কামালের খালাসের প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত নিযুক্ত আইনজীবী। দায় থেকে বাঁচতেই সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন বলেও দাবি তার।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের মামলায় বিচার শুরু হয় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের। এরপর ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ সাক্ষীর জবানবন্দি এবং ৬ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন। শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে তিন দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়, যা শেষ হয় বুধবার (২২ অক্টোবর)।

ওইদিন যুক্তিতর্কে সাবেক আইজিপি মামুনের রাজসাক্ষী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। বলেন, দায় থেকে বাঁচতেই এ পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি। হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি বলেও দাবি করেন এ আইনজীবী। অপরাধ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে হাসিনা কামালের খালাস চেয়েছেন তিনি।

এছাড়াও যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর। একই সঙ্গে আসামিদের সম্পত্তি বিক্রি করে শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আবেদন করা হয়। আর রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোন সাজার আবেদন করেনি প্রসিকিউশন।

শেখ হাসিনার এ মামলায় ৮৪ জনকে সাক্ষী করা হলেও ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন ৫৪ জন। তাদের সবাইকেই জেরা করেছেন আমির হোসেন।

তবে প্রসিকিউশন বলছে, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) পাল্টা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন চিফ প্রসিকিউটর। সমাপনী বক্তব্য দেবেন অ্যাটর্নি জেনারেলও। এরপরই রায়ের দিন ধার্য করবেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১:০৫:৪০   ৩২ বার পঠিত  




জাতীয়’র আরও খবর


সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করলো পুলিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, বাদীর জেরা ১০ নভেম্বর
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
সাবেক মন্ত্রী মায়া ও পরিবারের ৮১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
তিন শতাধিক বিচারককে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে ৭ম দিনের আপিল শুনানি চলছে
স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের আয়কর নথি জব্দ
হাসিনাসহ পরিবারের বিরুদ্ধে তিন মামলায় আরও ১১ জনের সাক্ষ্য
হাসিনার রায় বিলম্বিত করার নতুন কূটকৌশল, নভেম্বরে রায় অনিশ্চিত

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ