
সীমান্তে তুমুল লড়াই চালিয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। একসময় প্রতিবেশী এ দুই দেশের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসলামাবাদ ও কাবুল। তবে এই অস্ত্রবিরতি কতক্ষণ টিকবে তা তালেবানদের ওপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কাবুল-ইসলামাবাদ অস্ত্রবিরতি চুক্তি তালেবান যোদ্ধাদের পাকিস্তানে প্রবেশ ও হামলা বন্ধ করার ওপর নির্ভর করছে। শুধুমাত্র এই শর্তের উপরই প্রতিবেশী এ দুই দেশের শান্তি নির্ভর করছে বলে হুঁশিয়ারি দেন আসিফ।
২০২১ সালে তালেবান কর্তৃক কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম মারাত্মক কোনো লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে এ দুই দেশ। এই সংঘাতে দুই পক্ষেরই বহু প্রাণহানি ঘটেছে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা ক্রমাগত চালাচ্ছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আফগান সীমান্তে হামলা চালিয়েছে ইসলামাবাদ। আফগানিস্তানও জবাব দিয়েছে। এক পর্যায়ে দুই গুরুত্বপূর্ণ দুটি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান সরকার।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রয়টার্সকে বলেন, আফগানিস্তান থেকে কিছু ঘটলেই এই চুক্তির লঙ্ঘন হবে। সব কিছু এই শর্তের ওপরই নির্ভর করছে। মন্ত্রী জানান- পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তুরস্ক এবং কাতার দ্বারা স্বাক্ষরিত চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটবে না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সহ আরও বেশ কিছু সন্ত্রাসীগোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে যোগসাজশ রেখে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে আক্রমণ চালাচ্ছে। যদিও কাবুল এর আগে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৯:২৭ ৫৩ বার পঠিত