
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, একটি পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি প্রায় সম্পূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আমরা অগ্রসর হচ্ছি একটি যুগপৎ প্রশাসনিক দ্বৈত কাঠামো (পদায়ন, বদলি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত) অবসানের পথে। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হবে।
সুপ্রিম কোর্ট এবং ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বরিশালে ‘বাংলাদেশে বিচারিক স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ শীর্ষক এক বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সাতটি বিভাগীয় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এক বছর আগে ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়, সেটা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এর ফলে বদলে গেছে আদালতের সংস্কৃতি, জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ জানান, ব্যাংকক থেকে দুবাই, জোহানেসবার্গ থেকে সাও পাওলোতে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সংস্কার ও স্বাধীনতার পতাকা তুলে ধরেছেন তিনি। বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন; যাতে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা হয় তুলনামূলক, উন্মুক্ত ও বৈশ্বিক।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার দেশের বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপকে একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন এবং উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে পাশে থাকার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন– বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১০:০৯ ১৯ বার পঠিত