
বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন দুদিনের ‘অর্ধদিবস’ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান এবং ব্লকপদ বিলুপ্ত করে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দুই দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার পুরান ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার এ ঘোষণা দেন। এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. সালাউদ্দিনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজোয়ান খন্দকার বলেন, ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গত ৫ মে সারা দেশে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণ নিজ নিজ আদালত প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে। তবে আমাদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২২ ও ২৩ জুন দুই দিন সারা দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীরা ‘অর্ধদিবস’ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে। এরপরেও দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করব।
তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়। বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর শুধুমাত্র মাননীয় বিচারকগণের জন্য ৬টি গ্রেড রেখে পৃথক পে-স্কেলসহ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও সহায়ক কর্মচারীদের পে-স্কেলের আওতাভুক্ত করা হয়নি। বিচারকদের সঙ্গে আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা একই দপ্তরে কাজ করা সত্ত্বেও জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-স্কেলের আলোকে বিচারকদের বেতন-ভাতাদি প্রদেয় হলেও সহায়ক কর্মচারীরা জনপ্রশাসনের আলোকে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, বিচারকদের জন্য বিচারিক ভাতা, চৌকি ভাতা, ডিসেম্বর মাসে দেওয়ানি আদালতের অবকাশকালীন দায়িত্ব ভাতাসহ ফৌজদারি আদালতে দায়িত্ব পালনের জন্য এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অবকাশ ভাতা প্রদানের বিধান থাকলেও বিচার সহায়ক কর্মচারীরা অনুরূপ কোনো ভাতা প্রদান করা হয় না। এক কথায় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর বিচারকদের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হলেও সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করা হয়েছে সহায়ক কর্মচারীদের।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৫:০৭ ৪৯ বার পঠিত