
রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করেননি ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে ভারতে পালিয়ে আছেন তিনি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একটি মামলায় ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। একই মামলার অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর বুধবার এক মাস পূর্ণ হলো।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিযুক্ত আইনজীবী নই। আমাকে রাষ্ট্র নিযুক্ত করেছে শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসাবে। শেখ হাসিনা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমার সঙ্গে এই মামলার বিষয়ে তিনি কখনো যোগাযোগ করেননি। তবে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের ৩০ দিনের যে সময় সীমা রয়েছে, তা ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।
রায় ঘোষণার দিন রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছিল, দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান ৩০ দিনের মধ্যে যদি আপিল না করেন, তাহলে তারা গ্রেফতার হলে রায় কার্যকর হবে।
ট্রাইব্যুনাল আইনের ২১ নম্বর ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিলের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এই ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, দণ্ড ও সাজা প্রদান অথবা খালাস অথবা কোনো সাজা দেওয়ার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এই সময়সীমা (রায় দেওয়ার ৩০ দিন পর) অতিক্রান্ত হওয়ার পর কোনো আপিল গ্রহণযোগ্য হবে না। আর ২১ নম্বর ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, আপিল করার তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে।
প্রসিকিউশন জানায়, বিশেষ আইনগুলোতে যেখানে আপিলের সময় আইনের মধ্যে বলা আছে, সে ক্ষেত্রে এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে বিলম্ব মার্জনার কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ এই ৩০ দিন পার হয়ে গেলে ক্ষমা (বিলম্ব মাজর্না) করার আবেদনেরই আর কোনো সুযোগ নেই। সরকার এটি তখন কার্যকর করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৫:৩৫ ১১ বার পঠিত