
প্রিমিয়ার ব্যাংকের বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চলমান অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের আবেদনের পর ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন। ইকবালের পাশাপাশি তার ছেলে, ভাই, বোনসহ মোট ১৯ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের উপপরিচালক মো. হোসাইন শরিফ বিদেশযাত্রা নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। দুদকের আইনজীবী ইশতিয়াক আহমেদ শুনানিতে অংশ নেন এবং আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পরিবারের সদস্যরা হলেন— এইচ বি এম ইকবালের ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, ভাই মঈন ইকবাল, বোন নওরীন ইকবাল, আরিফ আলম, ফৌজিয়া রেকজা বানু।
এ ছাড়াও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন— বর্তমান এমডি আবু জাফর; সাবেক এমডিরা: খন্দকার ফজলে রশিদ, কাজী আবদুল মজিদ, এম শাহ আলম সারোয়ার, নিয়াজ হাবীব, মাসিহুল হক চৌধুরী, এ কে এম মাজেদুর রহমান, ড. এম রিয়াজুল করিম; অতিরিক্ত এমডিরা: সৈয়দ নওশের আলী, শহীদ হোসেন মল্লিক, শাহেদ সেকান্দার, শামসুদ্দিন চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন; গুলশান শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম ওমর খসরু।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে— ইকবাল ও তার পরিবারের সদস্যরা যোগসাজশে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখার ভাড়া বাবদ ১,৪৩৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। স্টেশনারি খাতে ব্যয় দেখিয়ে আরও ১,৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে মোট ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ: ৪,৮১৮ কোটি টাকা। ভুয়া এফডিআর খুলে অতিরিক্ত মুনাফা দিয়ে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ। ব্যাংক ফাউন্ডেশন, বিপিএল ও টিভি বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ লুটপাট ও বিদেশে পাচার।
দুদক জানায়, অভিযোগ–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হতে পারে—এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫১:২৯ ৩৬ বার পঠিত