তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর

প্রথম পাতা » সুপ্রিমকোর্ট » তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫



তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

দীর্ঘ ১০ দিনের শুনানি শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ঐতিহাসিক এই মামলার রায়ের দিন ঠিক করল।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আরও ছিলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

এছাড়া ইন্টারভেনর হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ এবং ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়। এর আগে ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর পাঁচজন নাগরিক, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করে। পরে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

২০০৫ সালে আপিলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলতে থাকে। ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এরপর পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশিত হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি। এর মধ্যে ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৪:২৬   ৩৭ বার পঠিত  




সুপ্রিমকোর্ট’র আরও খবর


অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠন প্রক্রিয়া বৈধ: আপিল বিভাগ
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বিধা-বিভক্ত রায়
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
বাগেরহাটে চার আসন পুনর্বহাল করে গেজেট জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
পঞ্চদশ সংশোধনী মামলায় আপিলে পক্ষভুক্ত হলেন মির্জা ফখরুল
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: যুক্তিসঙ্গত শাস্তির বিধান প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল
জোটে গেলেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বৈধতায় হাইকোর্টের রুল
বার কাউন্সিল সনদ নিয়ে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
সোনাইমুড়ির সন্তান অ্যাডভোকেট মো: নজরুল ইসলাম ছোটন ডেপুটি অ্যার্টনী জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন
হাইকোর্টে জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ