
স্বপন বিশ্বাস, রাজবাড়ীঃ
দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা নিয়ে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজা।
গত ২১শে সেপ্টেম্বর রবিবার দুর্গা দেবীর আর্বিভাব মহালয়া এবং এরই সাত দিন পরেই ২৮ শে সেপ্টেম্বর রবিবার মহাষষ্ঠির মধ্যে দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দূর্গাপূজা আর (২অক্টোবর) বিজয় দশমীর মধ্যে দিয়ে দূর্গাপুজা শেষ হবে।
সারাদেশের মত দুর্গোৎসবকে ঘিরে রাজবাড়ী শহরের ভাজনবাড়ী সংলগ্ন আমতলায়
শারদীয় দুর্গাপূজার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিমা তৈরির কাজ,শেষ মুহূর্তে প্রতিমাশিল্পীরা দেবী দুর্গাকে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মঙ্গলবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর)উৎসবকে ঘিরে সরেজমিনে ভাজনবাড়ী সংলগ্ন আমতলায় পুজা
মন্ডপে গিয়ে দেখা যায়, দেবী দুর্গাকে নতুন রুপ দিতে রং তুলির কাজ চলছে।
সার্বজনীন এ পুজা কমিটির সভাপতি পরিমল সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাহাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে এ পুজা মন্ডপটিকে শহরে সবচেয়ে আকর্ষণীয় করে তুলছে।
দুর্গোৎসবকে ঘিরে সভাপতি ও সেক্রেটারি এর সাথে কথা বললে তিনি এই মন্ডপ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা জানায়। যেহেতু জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পুজা হচ্ছে, তাই বার বার এখানে আসতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
পাশাপাশি চলছে মন্ডপ সাজানোর ব্যাপক প্রস্ততি। । অন্য দিকে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকারেশনসহ অন্যান্য কাজগুলি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শাস্ত্রমতে, এবার দেবীদুর্গা গজে মর্ত্যে আগমন করবেন এবং দোলায় চড়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন। যার ফলে স্বরূপ শস্যশ্যামলা হবে ধরিত্রী। কিন্তু দেবীর গমনের বাহন অশুভ ইঙ্গিত করছে।
দুর্গোৎসব নিয়ে জেলা পুজা উদযাপন ফ্রন্ট এর আহবায়ক অনিন্দিতা গুহ বানী ও সদস্য সচিব বাবলু চক্রবর্তী এর সাথে কথা বললে তারা জানান, এবার সদর উপজেলায় ১১০টি এবং জেলাতে প্রায় ৪৫০টি পুজা মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুর্গা পুজা নিয়ে, রাজবাড়ীর এসপি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের সকল কার্যক্রম চালু হয়েছে। পূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পূজা কালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পূজা পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনটি পর্যায়ে নিরাপত্তা বলয় করা হয়েছে।
এসপি আরোও বলেন,দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি মন্ডপে শতভাগ সিসি টিভি স্থাপনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের প্রতি বিশেষ আহ্বান করেন।
সেই সাথে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করলে তাকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে অপরাধীকে অপরাধী হিসাবেই বিবেচনা করা হবে সে কোন ধর্ম বা বর্ণের সেটা বিবেচ্য না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৪:৪০ ৩৮ বার পঠিত