বেরোবির সাবেক উপচার্য কলিমুল্লাহর জামিন নাকচ, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বেরোবির সাবেক উপচার্য কলিমুল্লাহর জামিন নাকচ, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫



বেরোবির সাবেক উপচার্য কলিমুল্লাহর জামিন নাকচ, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বেরোবির উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের মামলার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহজ বিন ইসলাম। নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমি এর বিরোধিতা করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ আগস্ট মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে কলিমুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেদিনই জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২৭ অগাস্ট তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

গত ১৮ জুন ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কলিমুল্লাহসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম, হাবিবুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের বেশি চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া করেন। ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে নেওয়া নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেইউ এফডিআর ঠিকাদারকে লোন দেওয়ার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অনুমোদন তথা গ্যারান্টার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার কোনও আইন না থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম বিল দেন এবং অগ্রিম দেওয়া বিল সমন্বয়ের আগেই বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করা হয়। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ড্রইং বা ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধি বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৬:১৮   ১০ বার পঠিত  




প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


ট্রাম্পের ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্য নীতি, বৈশ্বিক প্রভাব হারাবে যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানে রাজনৈতিক র‌্যালিতে বোমা হামলা, নিহত ১৫
তারেক রহমান দেশে ফেরার তথ্য জানালে উদ্যোগ নেবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রযোজকের ৫০ লাখ হাতিয়ে নেওয়া সেই ফারুক রিমান্ডে
বেরোবির সাবেক উপচার্য কলিমুল্লাহর জামিন নাকচ, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
শেখ হাসিনার মামলায় রাজসাক্ষী মামুনের জেরা শুরু
সাঁজোয়া ট্রেনে চীনে পৌঁছালেন কিম জং উন
ইসরাইল সৃষ্ট অনাহারে আগস্টে ১৮৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
সমকামিতা নিষিদ্ধ করলো বুরকিনা ফাসো, অপরাধ প্রমাণিত হলে জেল, জরিমানা
নুরের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ