
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মোবাইল ফোনের জন্য আবদুল খালেক নামে একজনকে শ্বাসরোধে হত্যা ও লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ায় মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দুই আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বগুড়ার সিনিয়র দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ আট বছর পর এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলার বাগবেড় গ্রামের শফিকুল ইসলাম শোভার ছেলে বিশাল ফকির (৩৪) ও একই উপজেলার ধাপ গ্রামের শাহজাহান ফকিরের ছেলে সিহাব ফকির (৩৫)।
আদালত ও মামলা সূত্র জানায়, নিহত আবদুল খালেক বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুটিবাড়ি গ্রামের ডাবলু মিয়ার ছেলে। তার মোবাইল ফোনটি বন্ধু বিশাল ফকির, সিহাব ফকির ও অপর একজন (শিশু) পছন্দ করতেন। তিনজনই খালেকের কাছে ফোনটি দাবি করছিলেন। কিন্তু তিনি ফোন দিতে রাজি না হওয়ায় তিনজনই তাকে হত্যা করে ফোনটি নেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
২০১৭ সালের ৭ আগস্ট তিন বন্ধু কৌশলে খালেককে নিয়ে সারিয়াকান্দির দীঘলকান্দির প্রেম যমুনা ঘাটে বেড়াতে যান। সেখানে সন্ধ্যার দিকে আসামি বিশাল ফকির, সিহাব ফকির ও এক শিশু মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর লাশ যমুনা নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন বিকাল ৫টার দিকে দীঘলকান্দিতে প্রেম যমুনা ঘাটের পূর্ব পাশে হিজল গাছের নিচ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে আবদুল খালেকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তার লাশ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় সারিয়াকান্দি থানার এসআই খয়ের উদ্দিন থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামি বিশাল ফকির ও সিহাব ফকিরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আবদুল বাছেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় তিন আসামির মধ্যে একজন শিশু ছিল। তার বিচার শিশু আদালতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২:০৪:০৮ ৮৭ বার পঠিত