মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

বৃটিশ ৬০ লেবার এমপির চিঠি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » বৃটিশ ৬০ লেবার এমপির চিঠি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫



ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গাজা উপত্যকার সকল ফিলিস্তিনিকে রাফার ধ্বংসস্তূপে গড়ে ওঠা একটি ক্যাম্পে জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনার প্রতিবাদে বৃটেনের লেবার পার্টির প্রায় ৬০ জন সংসদ সদস্য একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বৃটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং ইসরাইলের এই পদক্ষেপ প্রতিহত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ বিষয়ে ওই এমপিরা বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যৌথভাবে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। বৃহস্পতিবার বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে পাঠানো চিঠিতে লেবার দলের এমপিরা তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আমরা গভীর তৎপরতা ও উদ্বেগের সঙ্গে আপনাকে লিখছি। কারণ ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন- তিনি গাজার সকল ফিলিস্তিনি নাগরিককে রাফাহ শহরের ধ্বংসাবশেষে নির্মিত একটি শিবিরে জোরপূর্বক স্থানান্তর করতে চান এবং তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেবেন না।

চিঠিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, ইসরাইলি মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড এই পরিকল্পনাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি কার্যকর রূপরেখা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, এটি মূলত গাজার জনসংখ্যাকে দক্ষিণ প্রান্তে ঠেলে সরিয়ে দেয়ার পর তাদের উপত্যকা থেকে স্থায়ীভাবে বিতাড়নের প্রস্তুতি। তবে এমপিরা স্পষ্টভাবে বলেন, এটিকে আরও সরলভাবে বলা যায়- এটি গাজায় জাতিগত নিধন। এই চিঠির আগেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে বক্তব্য রাখেন। এই আন্তর্জাতিক অবস্থান আরও জোরালো সমর্থন পেয়েছে বৃটিশ এমপিদের ঐক্যবদ্ধ চিঠির মাধ্যমে। চিঠিতে এমপিরা তিনটি মূল দাবি তুলেছেন। তা হলো- ইসরাইলের রাফাহ পরিকল্পনা প্রতিহত করা। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট রূপ এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া বৃটেনের উচিত দেরি না করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া, যা মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই শান্তির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা- ইউরোপীয় ও অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৬:০০   ৫৫ বার পঠিত