
হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে হামলা-ভাঙচুরের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজকে হাজির করা হলে বিচারক তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মানিকগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের বলেন, আজ দুপুরে সিঙ্গাইর থানায় করা হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে হরিরামপুর থানায় করা হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের মামলায় আগে ধার্য করা দুই দিনের রিমান্ড কার্যকরের জন্য থানায় পাঠানো হয়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মমতাজের বিরুদ্ধে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা এবং হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়। দুই মামলায় ২২ মে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক হত্যা মামলায় চার দিন এবং ভাঙচুরের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ওই দিন তাকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নেওয়া হয়।
হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হরতালের সমর্থনে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর সড়কের গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকায় মিছিল বের করেন ইসলামি সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাদীর ছেলে নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মমতাজকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
হামলা-ভাঙচুরের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ৩০ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানের উপজেলার বয়ড়া গ্রামের বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বক্তব্য চলাকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন একটি মামলা করেন। মামলায় মমতাজকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৮৬ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৮:০৩ ১৬ বার পঠিত