চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় এমপিসহ তিন জনের সাক্ষ্য

প্রথম পাতা » জেলা জজ কোর্ট » চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় এমপিসহ তিন জনের সাক্ষ্য
বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩



---

 

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীসহ তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। অপর দুই সাক্ষী হলেন, অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন খান ও আহমেদ সাঈদ।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এদিন তাদের সাক্ষ্য শেষ হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহীনুর আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত এলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৭:৪৩   ২০০ বার পঠিত  




জেলা জজ কোর্ট’র আরও খবর


হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার জবি শিক্ষার্থী রিমান্ডে
রিমান্ড শেষে কারাগারে কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর
সালমান ও তার পরিবারের সদস্যদের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ
ডিবির হারুনের ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গীরসহ তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
লুক্সেমবার্গে আজিজ খানের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ ঢাকার আদালতের
দিনদুপুরে নারীকে টেনেহিঁচড়ে নেওয়ার সেই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত
পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
কাজী নাবিল পরিবারের ৩৬২ একর জমি ক্রোক, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ অবরুদ্ধ
কাঠগড়ায় ফুঁপিয়ে কাঁদলেন তুরিন আফরোজ, সান্ত্বনা দিলেন ইনু

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ