কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধানের বৈধতা প্রশ্নে রায় ১৪ নভেম্বর

প্রথম পাতা » জাতীয় » কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধানের বৈধতা প্রশ্নে রায় ১৪ নভেম্বর
শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪



কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধানের বৈধতা প্রশ্নে রায় ১৪ নভেম্বর

কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর অধীন কোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করে আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।

এর আগে আইনের ৬ (২) ও ৯ ধারা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক ও আইনজীবী তাইয়্যেবুল ইসলাম সৌরভ।

রিটের পর গত ২ সেপ্টেম্বর শাহদীন মালিক বলেন, এটি কুইক রেন্টাল আইন নামে পরিচিত। সরকারের সব ক্রয় একটি প্রক্রিয়া তথা টেন্ডারের মধ্য দিয়ে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মন্ত্রীকে একক বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা তাকে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোনো সভ্য রাষ্ট্রে মন্ত্রীর একক ক্ষমতা থাকতে পারে না।

আর বলা হচ্ছে, এ আইনের অধীনে কর্ম নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আদালতের এখতিয়ার রদ করতে পারে এমন কোনো আইন হতে পারে না। এটা চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত সপ্তাহের জন্য রুল দিয়েছেন।

রুলে আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ রুলের ওপর বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর ‘আদালত, ইত্যাদির এখতিয়ার রহিতকরণ’ সংক্রান্ত ৯ ধারায় বলা হয়েছে- ‘এ আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।’

৬(২) ধারায় বলা হয়েছে- ‘উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যে কোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে ওই কাজের জন্য মনোনীত করে ধারা ৭ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।’

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৯:২২   ১৬৪ বার পঠিত  




জাতীয়’র আরও খবর


আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ
উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গুমের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
নোট অব ডিসেন্টের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানোই সভ্য গণতান্ত্রিক পথ: তারেক রহমান
বিচার বিভাগকে সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হয়: প্রধান বিচারপতি
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করলো পুলিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, বাদীর জেরা ১০ নভেম্বর
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
সাবেক মন্ত্রী মায়া ও পরিবারের ৮১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
তিন শতাধিক বিচারককে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ