![]()
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরাইল। যাদের অনেকের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে মৃতদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। ফেরত পাওয়া একাধিক মৃতদেহে মারধরের দাগ, হাত বাঁধার চিহ্ন এবং চোখ বেঁধে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ১৪ অক্টোবর থেকে ইসরাইল মোট ১৯৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৫৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি মৃতদেহগুলো চেনা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ ও গাজার পরীক্ষাগার ধ্বংসের কারণে ফরেনসিক পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারগুলো পোশাক বা শরীরের চিহ্ন দেখে পরিজনদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।বুধবারই গাজার প্রশাসন ফেরত পাওয়া ৫৪ জন অজ্ঞাতনামা ফিলিস্তিনির জন্য জানাজা ও দাফনের আয়োজন করে। কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব মৃতদেহের মুখাবয়ব নির্যাতনের ফলে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যায়নি।
ফিলিস্তিনি জাতীয় শহীদদের মৃতদেহ ফেরত প্রচারণা কমিটির হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির আগে ইসরাইল ৭৩৫ ফিলিস্তিনি মৃতদেহ আটকে রেখেছিল। ইসরাইলি দৈনিক হারেতজ জানায়, দক্ষিণ ইসরাইলের কুখ্যাত সেদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে গাজার আরও প্রায় দেড় হাজার ফিলিস্তিনির মৃতদেহ সংরক্ষিত আছে।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি ১০ অক্টোবর কার্যকর হয়। প্রথম পর্যায়ে এতে ইসরাইলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং আংশিক সেনা প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চুক্তির পরবর্তী ধাপে গাজা পুনর্গঠন ও হামাসবিহীন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২:২৮:৩০ ৩০ বার পঠিত