বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

হারেৎজ তদন্ত প্রতিবেদন শিন বেতের সতর্কতার ৪ ঘন্টা পরে পুলিশ বার্তা পায়

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » হারেৎজ তদন্ত প্রতিবেদন শিন বেতের সতর্কতার ৪ ঘন্টা পরে পুলিশ বার্তা পায়
সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫



শিন বেতের সতর্কতার ৪ ঘন্টা পরে পুলিশ বার্তা পায়

ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের গোয়েন্দা তথ্য পুলিশের কাছে পৌঁছে চার ঘন্টা বিলম্বে। ফলে এ সময়ের মধ্যে হামাস ২০২৩ সালে হামলা চালিয়ে বসে। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী পত্রিকা হারেৎজ। পত্রিকাটিতে প্রকাশিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অভ্যন্তরীণ তদন্তের নথি হাতে পেয়েছে হারেৎজ। তাতে দেখা যায়- শিন বেত রাত ৩টা ০৩ মিনিটে সতর্কবার্তা পাঠায়। কিন্তু ইসরাইলি পুলিশ সেটি পায় সকাল ৭টা ০৩ মিনিটে। অর্থাৎ হামাসের হামলা শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা পর।

শিন বেত দাবি করে তারা তথ্য ‘রিয়েল টাইমে’ পুলিশে পাঠিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের তদন্তে দেখা যায়, আক্রমণের আগের রাতে সংস্থাগুলোর মধ্যে এনক্রিপটেড (গোপনীয়) তথ্য আদান-প্রদানের যে সিস্টেম ব্যবহার করা হয়, তাতে সিস্টেম আপগ্রেডের কাজ চলছিল। এ কারণেই সতর্কবার্তা পৌঁছাতে চার ঘণ্টা বিলম্ব ঘটে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো- পুলিশ এই আপগ্রেডের বিষয়ে অবগতই ছিল না এবং এটি তারা আবিষ্কার করে শুধু তদন্ত চলাকালীন, অর্থাৎ গত বছর। এই তদন্তের উদ্দেশ্য ছিল বোঝা, কেন শিন বেত দাবি করছে তারা সময়মতো সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে, অথচ পুলিশ বলছে তারা অনেক দেরিতে তথ্য পেয়েছে। শিন বেত আবার পুলিশের কর্মকাণ্ড পরীক্ষা করে দেখে। কিন্তু অপারেশন রুমে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবহেলা ছিল না- এমন সিদ্ধান্তে আসে। শিন বেত সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল। কারণ তারা গাজায় হামাস সদস্যদের ইসরাইলি সিম কার্ড সক্রিয় করার তথ্য পায়।

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সেই তথ্য বিশ্লেষণ শুরু করে কেবল সকাল ৭টার পর এবং সকাল ৮টার দিকে বিভিন্ন জেলার পুলিশকে সতর্কবার্তা পাঠায়। কিন্তু তখনই সদেরোত শহর ও সীমান্তবর্তী কিবুতজগুলোতে হামলা পুরোপুরি শুরু হয়ে গেছে। নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল স্থানে হত্যাকাণ্ডও ততক্ষণে চলছে। এর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পুলিশ।

তদন্তে আরও জানা গেছে, ২০২১ সাল থেকেই পুলিশ ও শিন বেত কর্মকর্তারা সতর্ক করেছিলেন যে এই সিস্টেমে ত্রুটি রয়েছে- তথ্য নিয়মিত দেরিতে পৌঁছায়। তবুও সমস্যার সমাধান বিলম্বিত হয়। কারণ তখন বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ফোনে সরাসরি জেলা পুলিশ প্রধান ও ‘ইয়ামাম’ সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের প্রধানকে সতর্কবার্তা পাঠানো হতো। তদন্তে স্পষ্ট নয়, নতুন আপগ্রেডটি আসলে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্যই করা হয়েছিল কিনা। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তথ্যে বিস্তারিত কিছু ছিল না- শিন বেতও এটিকে জরুরি সতর্কতা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেনি। বরং এটি ছিল ‘সন্দেহজনক চিহ্ন’ সম্পর্কিত একটি নিম্নস্তরের সতর্কবার্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৩:৩৪   ১৯৪ বার পঠিত