![]()
গাজা শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে হামাসকে রোববার পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে এ হুঁশিয়ার বার্তা দেন তিনি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে ‘নিষ্ঠুর ও সহিংস হুমকি’ বলে নিন্দা জানান রিপাবলিকান এই নেতা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
ট্রাম্প জানান, রোববার আন্তর্জাতিক সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অবশ্যই চুক্তিতে রাজি হতে হবে। অন্যথায় গাজায় আরও ভয়াবহ সহিংসতা দেখা দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই শান্তি প্রস্তাবকে শেষ সুযোগ উল্লেখ করে ট্রাম্প লিখেছেন, যদি এই শেষ সুযোগের মধ্যে চুক্তিটি না হয় তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন এক সর্বনাশা পরিস্থিতি নেমে আসবে, যা কেউ আগে কখনও দেখেনি। যেভাবেই হোক মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।ট্রাম্প প্রশাসন সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম নেতার সঙ্গে এই শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এরপর গত সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানানোর সময় তিনি পরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার কোনো পথ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও তেল আবিবের সামরিক অভিযানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পরও ওই প্রস্তাবে তেল আবিবের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। ফলে এ নিয় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন কমিশন নির্ধারণ করেছে যে গাজায় ইসরাইলের কার্যকলাপ গণহত্যার সমতুল্য।
ট্রাম্পের রূপরেখায় হামাসকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গাজার প্রশাসনে কোনো ভূমিকা না রাখতে সম্মত হতে চাপ দেয়া হয়েছে। বিনিময়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, যেখানে ইতিমধ্যে অর্ধ মিলিয়ন মানুষের জন্য দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। ইসরাইলি অবরোধের ফলে বেসামরিক মানুষের কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ পৌঁছানো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ক্ষুধা আরও তীব্র হয়েছে।পরিকল্পনায় ইসরাইলি জিবীত জিম্মিদের এবং যারা মারা গেছেন তাদের দেহাবশেষ হস্তান্তরের প্রস্তাব রয়েছে। পরিবর্তে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর আটক হওয়া ১,১৭০ জন গাজাবাসী এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২৫০ জনকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। পাশাপাশি ওই পরিকল্পনায় একটি পিস (শান্তি) বোর্ড প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানানো হয়েছে। যার নেতৃত্বে থাকবেন স্বয়ং ট্রাম্প এবং অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারেরও থাকার কথা রয়েছে।
শুক্রবারের ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে, ট্রাম্প বারবার এই প্রস্তাবকে হামাসের আলোচনার টেবিলে আসার ‘শেষ সুযোগ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, হামাস যদি তার প্রস্তাব মেনে না নেয় তবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। ট্রাম্প লিখেছেন, সভ্যতার উপর ৭ই অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ হিসাবে, ২৫ হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধাকে নিহত করা হয়েছে। বাকিরা কোথায় আছেন এবং তারা কারা তাদেরও খুঁজে বের করে নিহত করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৯:২৭ ৫৫ বার পঠিত