
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত দেড়শতাধিক কোম্পানি অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইসরাইলি বসতিগুলোতে ব্যবসা করছে। শুক্রবার সংস্থাটির মানবাধিকার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, ওই বসতিগুলোতে ব্যবসা পরিচালনাকারী কোম্পানির সংখ্যা ১৫৮টি। এর মধ্যে ৬৯টি কোম্পানিকে ২০২৩ সালের জুনে পর নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, এই কোম্পানিগুলোর নিশ্চিত করা উচিত যেন তাদের কার্যক্রম কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনে অবদান না রাখে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব ব্যবসায়িক উদ্যোগ শনাক্ত করবে যে তারা প্রতিকূল মানবাধিকারের প্রভাব সৃষ্টি করেছে বা তাতে অবদান রেখেছে, তাদের উচিত উপযুক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিকার প্রদান করা বা তাতে সহযোগিতা করা।
ইসরাইল যদিও পশ্চিম তীরের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক ও বাইবেলীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের আদালতের ২০২৪ সালের রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির যুক্ত হলো- ফিলিস্তিনি অঞ্চল আইনগতভাবে অধিকৃত নয় কারণ জমিটি বিতর্কিত। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই জাতিসংঘের মতকে সমর্থন করে।
প্রকাশিত তথ্যে নাম থাকা বেশিরভাগ ফার্ম ইসরাইলে অবস্থিত হলেও, এতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, ফ্রান্স এবং জার্মানির মতো দেশগুলোতে তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান এবং পশ্চিম তীরে একই সঙ্গে অভিযান বৃদ্ধির পর থেকে কোম্পানিগুলোর বসতি-সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বেড়েছে।
এই তালিকাটি মূলত নির্মাণ, রিয়েল এস্টেট, খনি ও পাথর কোয়ারি সম্পর্কিত ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করেছে। এই তথ্য এখনো সম্পূর্ণ নয়। কেননা এখন তিনশতাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে জাতিসংঘ।সংস্থাটির মানবাধিকার প্রধান ভোলকার তুর্ক বলেছেন, এই প্রতিবেদন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কাজ করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ পরিশ্রমের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে নাগরিক সমাজের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে জাতিসংঘের কাউন্সিল কর্তৃক বাধ্যতামূলক করা এই তথ্যভান্ডারটি পশ্চিম তীরের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার এবং কোম্পানিগুলোকে তাদের কার্যক্রম পুনর্বিবেচনা করতে উৎসাহিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৬:২৯ ২৩ বার পঠিত