
ডিবির তৎকালীন প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে ‘জ্বীন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, হারুন সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পারদর্শী ছিলেন। আন্দোলন দমন ও সমন্বয়কদের আটক–আন্দোলন থেকে সরে আসতে চাপ প্রয়োগসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে হারুন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ০১- এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে জবানবন্দিতে এ কথা জানান আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া এ সাবেক আইজিপি।
সাবেক আইজিপির দাবি, এসব বৈঠকে আন্দোলন দমন ও সরকারের পক্ষে নানা নির্দেশনা দেওয়া হতো। বৈঠকে তিনি ছাড়াও উপস্থিত থাকতেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব টিপু সুলতান ও রেজা মোস্তফা, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, র্যাব মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের প্রধানেরা।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এক বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিজিএফআই এ প্রস্তাব দেয়। তিনি এর বিরোধিতা করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে রাজি হন। আটকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি প্রধান হারুনকে।
পরে ডিজিএফআই ও ডিবি সমন্বয়কদের আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার ও সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে চাপ দেওয়া হয়। এমনকি তাদের আত্মীয়স্বজনকেও ডিবিতে এনে চাপ প্রয়োগ করা হয়।
তিনি জানান, শেষ পর্যন্ত সমন্বয়কদের টেলিভিশনে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় হারুনের ভূমিকা ছিল মূল।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৬:৩৩ ১৭ বার পঠিত