আদালত অবমাননা মামলা ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি হাসিনা, চূড়ান্ত শুনানি ১৯ জুন

প্রথম পাতা » জাতীয় » আদালত অবমাননা মামলা ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি হাসিনা, চূড়ান্ত শুনানি ১৯ জুন
বুধবার, ৪ জুন ২০২৫



ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি হাসিনা, চূড়ান্ত শুনানি ১৯ জুন

পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও হাজির না হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ১৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল। ‘২২৭ হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্র্যাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদালতে প্রসিকিউসন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

পরে চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কোনো ব্যাখ্যা দেননি শেখ হাসিনা। এখন আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণ হলে এক বছরের সাজা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে তাদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে বহুল প্রচারিত একটি ইংরেজি পত্রিকা এবং একটি বাংলা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আদালত অবমাননার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও শাকিল আলম বুলবুলের হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন তারা কেউই হাজির হননি। এমনকি তারা নিজে বা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেননি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। সেদিন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে আগামী ১৫ মে’র মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ওইদিন কোনো জবাব দাখিল না করায় তাদের গত ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’-এমন বক্তব্যের শেখ হাসিনা একটি অডিও ভাইরাল হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথোপকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সত্যতা পায়। এরপরই আদালত অবমাননার আবেদন দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৯:৩৩   ১২৩ বার পঠিত  




জাতীয়’র আরও খবর


আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ
উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গুমের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
নোট অব ডিসেন্টের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানোই সভ্য গণতান্ত্রিক পথ: তারেক রহমান
বিচার বিভাগকে সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হয়: প্রধান বিচারপতি
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করলো পুলিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, বাদীর জেরা ১০ নভেম্বর
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
সাবেক মন্ত্রী মায়া ও পরিবারের ৮১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
তিন শতাধিক বিচারককে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ