
ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং শতকোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার মামলাটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা নিজের ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৭ কোটি ৭২ লাখ ১৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করেছেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, তার নামে ও ছদ্মনামে ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬ মার্কিন ডলার জমা হয়। একই সময়ে এসব হিসাব থেকে ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬৭ টাকা এবং ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪০ মার্কিন ডলার উত্তোলন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪২ টাকা এবং ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ মার্কিন ডলার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে।
জানা যায়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সুইজারল্যান্ডে বসবাস করছেন। তার ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাবেক স্বামী। মোশাররফ হোসেন তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) ও ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৭:২৬ ১২ বার পঠিত