
সাত বছর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে খুন হন কবিরাজ মফিজুর রহমান। এই খুনের দায়ে দেবর-ভাবিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নী এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মাকসুদা আক্তার লাকী ও তার দেবর সালাউদ্দিন। মৃতু্যদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের বেউতা গণকবরস্থানের সামনের ডোবা থেকে হাত-পা ও মাথাবিহীন একটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সংশি্লষ্ট থানার এসআই এসএম মেহেদী হাসান ২ জানুয়ারি মামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম জানান, ভিকটিম একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। এছাড়া তার সার ও কীটনাশকের দোকান ছিল। পাশাপাশি কবিরাজি করতেন। আসামি লাকীর স্বামী বিদেশে থাকেন। তাদের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে। অধিক সন্তানের আশায় তিনি ভিকটিমের কাছে যান। তাদের মধ্যে পরকীয়া গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামিরা তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিকটিমকে লাকীর বাসায় দাওয়াত করা হয়। মফিজুর রহমান তার বাসায় যান। তাকে গরুর মাংস ও চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার দেহ ১০ টুকরা করে এখানে সেখানে ফেলা হয়।
মফিজুর নিখোঁজের ঘটনায় তার ভাই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তদন্তে সন্দেহভাজন হিসাবে দেবর-ভাবির নাম আসে। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন। এদিকে দুই আসামি জামিনে গিয়ে ২০২৩ সালে পলাতক হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৫:২৯ ১৮ বার পঠিত