বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫



হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের

৬ হাজার ৫৩১ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়েছে।

আগামী রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। ৬ ফেব্রুয়ারি ৮৪ শতাংশ কোটা পদ্ধতি মেনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগ পাওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে নতুন করে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের আদেশ দেয় আদালত।

এরপর থেকে বিক্ষোভ করতে থাকেন নিয়োগ বঞ্চিতরা। আজ দুপুরের দিকে আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কয়েকজন শিক্ষককে শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। আর আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, তারা মেধা দিয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। পুলিশ ভেরিফাই করেই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে কেন তাদের আন্দোলন করতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, তারা সাত দিন ধরে একটি যৌক্তিক দাবির জন্য আন্দোলন করছেন। নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এর আগেও তারা সড়ক অবরোধ করেন। সে সময়ও পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শক্তি ব্যবহার করে।

২০২৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেয় হাইকোর্ট।

এর আগে ১৯ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধিত অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।

গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৯:৪৮   ১৩৪ বার পঠিত