বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে সরোয়ার বাবলা হত্যা ভারতে বসে তিন দিন আগে খুনের হুমকি দেয় সাজ্জাদ

প্রথম পাতা » অপরাধ » চট্টগ্রামে সরোয়ার বাবলা হত্যা ভারতে বসে তিন দিন আগে খুনের হুমকি দেয় সাজ্জাদ
শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫



চট্টগ্রামে সরোয়ার বাবলা হত্যা: ভারতে বসে তিন দিন আগে খুনের হুমকি দেয় সাজ্জাদ

তিন দিন আগেই সরোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ভারতে বসে এইট মার্ডার মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সাজ্জাদ আলী খান ওরফে বড় সাজ্জাদ সরাসরি বাবলার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। আর সময় পাবি না। তোর সময় আর এক সপ্তাহ। যা খাওয়ার খেয়ে নে।’ বাবলা এই হুমকিকে তেমন পাত্তা দেননি। হুমকি দেওয়ার তিন দিনের মাথায় বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগ চলাকালে প্রকাশ্যে তার ঘাড়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সাজ্জাদ আলী খানের শিষ্য চট্টগ্রামে কারাবন্দি ছোট সাজ্জাদের সহযোগী ভয়ংকর সন্ত্রাসী রায়হানের নেতৃত্বেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। কিলিং মিশনে অন্তত ৮ সন্ত্রাসী অংশ নিয়েছে। হত্যার দৃশ্য ফেসবুকে সরাসরি ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদকে দেখানো হয়েছে বলেও ওই সূত্রটির দাবি। সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া ও শিবির ছেড়ে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া এবং বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যবসা ও এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে এই হামলায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ, ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা একমরামুল হক শান্তসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহর পেটের চামড়ার একদিকে ভেদ করে আরেক দিক দিয়ে গুলি বের হয়ে যায়। এই দুজন চট্টগ্রামে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরশাদ উল্লাহর শারীরিক অবস্থা বৃহস্পতিবার স্থিতিশীল থাকলেও শান্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এদিকে হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি, বোয়ালখালী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার নগরী ও বোয়ালখালী উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর যে এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে। এলাকার লোকজন রয়েছেন আতঙ্কে। দোকানপাট বৃহস্পতিবার বন্ধ ছিল। নিহত বাবলার পরিবারের অন্য সদস্যরাও আতঙ্কে রয়েছেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, সিএমপি প্রতিটি জায়াগায় (অল দ্য কর্নার) অভিযান শুরু করেছে। ডিবি ও থানা পুলিশের এক ডজনের বেশি টিম মাঠে কাজ করছে। হামজারবাগের তিন কিলোমিটার দূরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা কোন পথে এসে কোন পথে পালিয়েছে সেই চিত্র সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ওই হামলার ঘটনায় এরশাদ উল্লাহ টার্গেট ছিলেন না। টার্গেট ছিলেন সারোয়ার বাবলা; যার ক্রিমিনাল হিস্ট্রি রয়েছে। কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়টিও তারা ইতোমধ্যে জেনেছেন।

তিন দিন আগেই হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়ে সারোয়ার বাবলার বাবা আবদুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত সোমবার গইন্যার পোলা (আবদুল গণি কন্ট্রাক্টরের ছেলে) সাজ্জাইদ্যা ছেলেকে ফোন করে হুমকি দেয়। আমি তাকে (সারোয়ারকে) জিজ্ঞাসা করি কে ফোন করেছে? সে বলে, সাজ্জাদ আলী। কী বলেছে জানতে চাইলে বলে, আমাকে হুমকি দিচ্ছে। সাজ্জাদ আলী হুমকি দিয়ে বলেছে, তোমার সময় এক সপ্তাহ। যা খাওয়ার খেয়ে নাও।’ আবদুল কাদের বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করার জন্য আগেও চেষ্টা করেছে। এবার হুমকি দেওয়ার তিন দিন না যেতেই হত্যা করা হলো। সাজ্জাদ আলী খানের নির্দেশে রায়হানের নেতৃত্বেই তার ছেলেকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে বলে দাবি করেন বাবলার বাবা। এই হত্যাকাণ্ডে ৭-৮ জন যুবক অংশ নেয়। তাদের কেউ কেউ ছিল মুখে মাস্ক পরা।

হত্যার ভিডিও লাইভে বড় সাজ্জাদকে দেখানো হয় : বুধবার বিকাল ৩টায় চালিতাতলী এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর প্রচারণা চালানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি এলাকায় আসেন বিকাল ৫টার দিকে। এর আগে সাজ্জাদ আলী খানের বাড়ির একটি ক্লাবে নির্বাচনি সভায় বক্তব্য দেন। কিছু এলাকায় গণসংযোগ চালানোর পর তিনি ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে পূর্বপাড়া মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। একই মসজিদে নামাজ পড়েন বাবলাও। নামাজ শেষে বের হয়ে গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন বাবলা। এরশাদ উল্লাহর আগে আগে থেকে বাবলা নিজেও লিফলেট বিতরণ করেন দোকানে-দোকানে। হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ভিড়ের মধ্যে থেকে হঠাৎ একটি হাত বের হয়ে বাবলাকে টার্গেট করে। পেছন থেকে হাত বাড়িয়ে বাবলার ঘাড় বরাবর তাক করা হয় অস্ত্র। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই টান দেওয়া হয় ট্রিগারে। গুলির শব্দে ছোটাছুটি করে উপস্থিত লোকজন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কালো টি-শার্ট পরিহিত একজন অস্ত্র তাক করার আগ মুহূর্ত থেকে সাদা পাঞ্জাবি পরা অপর এক যুবক ফেসবুকে লাইভ দিতে থাকেন। তখন বাবলার সামনে একটি দোকানে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন এরশাদ উল্লাহ। গুলির শব্দ শুনে উপস্থিত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও ফেসবুক লাইভকারী ওই যুবককে দেখা যায় একদম স্বাভাবিক। ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলিতে রাস্তায় সাদা রঙের ট্র্যাকস্যুট পরা বাবলা উপুর হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার শরীর থেকে রক্তের স্রোত গড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, এক দোকানদার ও বাবলার বাবা আবদুল কাদের বাবলাকে নিয়ে প্রথমে অটোরিকশায় তুলে, পরে সিএনজি অটোরিকশা করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সূত্র দাবি করেছে, সাজ্জাদ আলী খান ওরফে বড় সাজ্জাদের নির্দেশ ছিল বাবলাকে হত্যার দৃশ্য যেন ফেসবুক লাইভে তাকে দেখানো হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ভয়ংকর ওই দৃশ্য এক যুবক ফেসবুক লাইভে সাজ্জাদকে দেখান। হত্যাকারীরা এরশাদ উল্লাহর আশপাশেই ছিলেন। কেউ মুখোশ পরে, কেউ মানুষের ভিড়ে মিশে ছিলেন। মোটরসাইকেলযোগে হত্যাকারীরা এলেও একটি নোহা মাইক্রোবাসে অস্ত্র নিয়ে ব্যাকআপ টিম হিসাবে ছিল হত্যাকারীদের অপর একটি গ্রুপ। বাবলাকে টার্গেট করে গুলি করা ছাড়াও আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে গুলি ছোড়ে। যে গুলিতে এরশাদ উল্লাহসহ অন্যরা বিদ্ধ হন।

বুধবার রাতেই এরশাদ উল্লাহকে দেখতে হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি তাকে দেখে বের হয়ে জানান, এরশাদ উল্লাহর পেটের চামড়ার একদিকে ভেদ করে আরেক দিক দিয়ে বের হয়ে যায় গুলি। তার বুকে পেসমেকার লাগানো। চিকিৎসকরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অস্ত্রোপচার করেছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। নিহত বাবলার ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সেটি আটকে ছিল। পরে চিকিৎসকরা তা বের করেন। এটি ঠান্ডা মাথার একটি পরিকল্পিত খুন।

দেড় মাস আগে বিয়ে করেন বাবলা : নগরীর হামজারবাগ এলাকার চালিতাতলীর পূর্বপাড়া মসজিদের কিছু দূর সামনে গেলেই দোতলা বাড়ি। এই বাড়িটি সারোয়ার বাবলার। বৃহস্পতিবার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আত্মীয়স্বজনরা শোকে মুহ্যমান। সারোয়ার বাবলার আত্মীয় আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, দেড় মাস আগে সারোয়ার বিয়ে করেন। তার বিয়ের অনুষ্ঠানে শহরের বড় রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য লায়ন আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান তার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির শাহাজাহান চৌধুরীর সঙ্গেও বাবলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, শিবির ক্যাডার বড় সাজ্জাদের হাত ধরেই বাবলার উত্থান হয়েছিল। মাঝখানে স্বার্থের দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নিজে বাঁচতে শিবিরের সঙ্গ ছেড়ে ওয়ার্ড যুবদলে যোগ দিয়েছিলেন বাবলা। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গড়ে তুলেছিলেন সখ্য। রেকর্ড খারাপ হলেও তিনি ভালো হয়ে যেতে চেয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে একাধিক গণমাধ্যমকে বাবলা বলেছিলেন, তাকে হত্যা করতে চায় বড় সাজ্জাদ ও ছোট সাজ্জাদ। নগরীর এক্সেস রোডে গত ৩০ মার্চ তাকে টার্গেট করে গুলি করা হয়। এই হামলায়ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ছোট সাজ্জাদের সহযোগী রায়হান। প্রাইভেটকারে ব্রাশফায়ারের ওই ঘটনায় বাবলা বেঁচে ফিরেছিলেন। কিন্তু বুধবার বাবলাকে হত্যার নিশানা মিস হয়নি কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের।

বাবলারা ৫ ভাই ২ বোন। বাবলা চতুর্থ। তার ভাই জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা আমার ভাইকে হত্যা করে তাদের ব্যবসার পথ পরিষ্কার করেছে। এখন তারা আমাদেরও হত্যা করবে।’

বুধবার সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে দেশের বাইরে থেকেও নানারকম ইন্ধন এসেছে। পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যেও ভারতে বসে শিবির সাজ্জাদের নির্দেশ প্রদানের বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হয়। ভারতে বসে নির্দেশদাতা হিসেবে যার নাম বলা হচ্ছে সেই সাজ্জাদ আলী খান চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ৮ ছাত্রলীগ নেতা খুনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২০০০ সালের ১২ জুলাই এইট মার্ডারের ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া এর আগে নিজ এলাকার জনপ্রিয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিয়াকত আলীকেও প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছিল সাজ্জাদ ও তার সহযোগীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিএমপির সহকারী কমিশনার (গণসংযোগ) আমিনুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারী এবং বাবলার হত্যাকারীদের গ্রেফতারে কমিশনার স্যারের নির্দেশে অল দ্য কর্নার অভিযান শুরু করেছি। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবার দাফনে ব্যস্ত থাকায় খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়নি। রাতের মধ্যে মামলা হতে পারে।’

এবার এক পা বিহীন অটোরিকশাচালকের ওপর গুলি : চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে এক অটোরিকশা চালককে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় সন্ত্রাসীরা তার ওপর এই হামলা চালায় বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ ইদ্রিসের বাম পা ও ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। আগে থেকেই তার ডান পা নেই। চালিতাতলী এলাকায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে হামলা ও গুলিবর্ষণের পরদিনই একই এলাকায় আবারও গুলির ঘটনা ঘটল।

পরিবারের দাবি, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ডেকে নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ করার কারণে তাদের চক্ষুশূল ছিলেন আহত ইদ্রিস ও তার ভাই। এর আগেও নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৪:৪৩   ৭ বার পঠিত