বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

দরজা ভেঙে উদ্ধার হলো চুয়াডাঙ্গা বিএনপির শীর্ষ নেতার লাশ।

প্রথম পাতা » সারাদেশ » দরজা ভেঙে উদ্ধার হলো চুয়াডাঙ্গা বিএনপির শীর্ষ নেতার লাশ।
রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫



আব্দুল্লাহ হক চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু (৪৭) আর নেই। ঢাকার ধানমন্ডির সোবহানবাগ এলাকায় ছোট ভাইয়ের বাসা থেকে রোববার সকালে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার রাতের কোনো এক সময় ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

---

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে শিপলুর হার্টে রিং পরানো হয়েছিল। নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে দুই দিন আগে তিনি ঢাকায় যান এবং শনিবার রাতে ছিলেন ছোট ভাই নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদের ঢাকার বাসায়। রাত ১২টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রোববার সকালে দরজা ভেঙে বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।


চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার প্রয়াত মির্জা আবদুল হক ও মির্জা আমেনা হকের বড় ছেলে শিপলু ছিলেন এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতা। তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু,সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা শোক বার্তায় শিপলুর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন,”বিএনপি দলের একজন নিবেদিত মানুষকে হারাল। জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা বিএনপির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমরা তার আকস্মিক ও অকাল মৃত্যুতে শোকাহত।”

শিপলুর স্ত্রী শিমু খাতুন জানান, তার ধারণা রাতে ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শিপলুর মৃত্যু হয়েছে।

তার বর্ণাঢ্য  রাজনৈতিক জীবনে  সাধারণ সম্পাদক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদল সাবেক সভাপতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল সাবেক সদস্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল( লাল্টু - হেলাল কমিটি) সাবেক সদস্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল (হেলাল - বাবু কমিটি) সাবেক আহবায়ক সদস্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


মরহুমের জানাজা ও দাফন সোমবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গায় সম্পন্ন হবে বলে জানান তার ছোট ভাই পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ।

চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে শোকের ছায়া। নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সকলেই হারালেন একজন উদার, সাহসী এবং আদর্শবান রাজনীতিককে।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২১:৫৯   ৪৭ বার পঠিত