![]()
ইসরাইল গণহত্যায় জড়িত কিনা তা নির্ধারণ করতে ভোটের আয়োজন করবে বৃটেনের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের হামলা কি গণহত্যার সমতুল্য এবং এর কারণে তেল আবিবের সঙ্গে বৃটেনের বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করা উচিত কি না- এ বিষয়ে লেবার পার্টির সদস্যরা ভোট দেবেন। এই ভোটের মাধ্যমে বৃটেন-ইসরাইল সম্পর্কের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়, বৃটেনের বড় কয়েকটি সংগঠন, যেমন ইউনিসন (একটি শ্রমিক ইউনিয়ন) এবং ট্রেন চালকদের সংগঠন অ্যাসলেফ, ইসরাইলের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য বন্ধ করার এবং আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছে। ইউনিসনের সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টিনা ম্যাকঅ্যানিয়া বলেন, ইসরাইলকে গণহত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, কারণ এখনো সেখানে গণহত্যা চলছে।
এই ভোটের সময় বৃটেনের সরকার ইসরাইলের কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি নতুন মূল্যায়ন করবে, যা দেখাবে গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ড কি গণহত্যার মতো গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে কিনা। যদি গণহত্যার প্রমাণ মেলে, তাহলে বৃটেনের আন্তর্জাতিক আইনে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করার জন্য কিছু করতে হবে। এদিকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইতিমধ্যেই ইসরাইলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথের আরও অনেক নেতাও এই অভিযোগ তুলেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, লেবার পার্টির এই ভোট বৃটেনের পররাষ্ট্রনীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আনে।
মিডলইস্ট আইয়ের এক খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে- ২০২৪ সালের বৃটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির ৭২ শতাংশ ভোটার ইসরাইলের বিরুদ্ধে পূর্ণ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করছেন। এমনকি গত কয়েক মাসে বৃটেন ও ইসরাইলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, যা ঐতিহাসিক মিত্র দুটি দেশের মধ্যে অস্বস্তি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ মাসের শুরুতে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের নিজেদের বৃহত্তম অস্ত্র বাণিজ্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে বৃটেন সরকার। এছাড়া নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশ শুরুর আগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশটি। যার কড়া সমালোচনা করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর মাধ্যমে হামাসকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ৫:৪২:৫১ ৫৪ বার পঠিত