শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক নিয়ে লড়বেন আবু হানিফ

প্রথম পাতা » সারাদেশ » কিশোরগঞ্জ-১ আসনে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক নিয়ে লড়বেন আবু হানিফ
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫



---

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি আসনের মধ্যে ২টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের ১ম ধাপে ৩৬জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার দুটি আসন রয়েছে। আসন দুটি হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ এবং কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-২ আসন।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। এছাড়া কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম শফিক।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী আবু হানিফ গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ আসনে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ ও দলীয় প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কারণে গত বছরের ২৫ জুলাই মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে র্যা ব তাকে তুলে নিয়ে যায়। দুদিন গুম করে রাখার পর ২৭ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। শেখ হাসিনার পতনের পর ৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন আবু হানিফ। ১৮ সালের আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন মিছিল ও মিটিংয়ে সক্রিয় ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময় হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকারও হন। সবশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনের শুরুর দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় নেতৃত্বে ছিলেন আবু হানিফ।

একজন মেধাবী রাজনীতিক হিসেবে ইতোমধ্যে সবার আলাদা নজর কেড়েছেন তিনি। নিজ আসনের জনসাধারণের মাঝে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীক পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দলটিকে একটি সংহত অবস্থানে নিয়ে যেতে তিনি বিরামহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।


দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর আবু হানিফ বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই দেশের মানুষ দুই দলের শাসন সবচেয়ে বেশি সময় দেখেছে। মানুষ এখন অনেক সচেতন। ফলে তারা নতুন নেতৃত্ব চায়। দেশের মানুষ কালো টাকা এবং পেশিশক্তির রাজনীতি পছন্দ করে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ভালো কিছু হবে বলে আশাবাদী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৩:৪৩   ৪৮ বার পঠিত