
রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পাথর মেরে নৃশংস হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৩ আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিরা হলো- টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির। বৃহস্পতিবার ঢাকার পৃথক তিনটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। গতকাল ৩ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ১২ই জুলাই টিটন গাজীর পাঁচদিন ও গত ১৩ই জুলাই আলমগীর ও মনিরের ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৯ই জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় পরের দিন ১০ই জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙাড়ির ব্যবসা করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ৩:৪২:২৯ ৪৯ বার পঠিত