
অবশেষে আশঙ্কাই সত্যি হলো। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লো যুক্তরাষ্ট্র। তারা আজ রোববার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। আগে থেকেই ইরান এমন হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি বা তাদের মিত্রদের ওপর হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর অবশ্য এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রতিশোধ নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি ইরানের পক্ষ থেকে। তবে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইরানের হাতে সব বিকল্প খোলা। এরই মধ্যে ইসরাইলে তারা ব্যাপক আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বিবিসির এক সাংবাদিক বলেছেন, জর্ডানে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। আসলে এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে কি ঘটছে তা পরিষ্কারভাবে জানা যাচ্ছে না। বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে, ইরানের পক্ষ থেকে দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরাইলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। হামলায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদম জানিয়েছে, একজন ৩০ বছর বয়সী যুবক শরীরে শারপনেল বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। বাকি ১০ জনকেও বিভিন্ন আঘাতের জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ইসরাইলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কেএএন-১১ এক ভিডিও প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ইসরাইলের একটি বিধ্বস্ত ভবনের ছবি প্রকাশ করেছে। তার চারপাশে ধ্বংসস্তূপ জমেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয় সকাল ৭:৩০ মিনিটে (স্থানীয় সময়)। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার কয়েক ঘণ্টা পরপরই এই পাল্টা জবাব দেয় ইরান। বিশ্লেষকরা বলছেন এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ইরান এখন শুধু রাজনৈতিক নয়, সরাসরি সামরিক প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। এর জবাবে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র আরও সামরিক অভিযানে যেতে পারে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরাইলি নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দে বহু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এই ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৬:৫০ ২১ বার পঠিত