![]()
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, সুদানের যুদ্ধ দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে লড়াই বন্ধ করা এবং সহিংসতার ইতি টানার আহ্বান জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থনপুষ্ট বলে ধারণা করা র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গত সপ্তাহে দারফুর অঞ্চলের এল ফাশার শহর দখল করেছে। এ শহরটি প্রায় দেড় বছর অবরুদ্ধ ছিল। তাদের কিছু সদস্যের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করছে। এমনকি শহরের মাতৃত্বকেন্দ্র হাসপাতালের ভেতরও তারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। সুদানের সরকারি বাহিনী (এসএএফ) এবং আরএসএফের মধ্যে চলমান দুই বছরের গৃহযুদ্ধকে জাতিসংঘ ২১শ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি বলে আখ্যা দিয়েছে।
এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এ যুদ্ধে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) সোমবার জানিয়েছে, তারা এল ফাশারে সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করছে। গুতেরেস বলেন, আমি উভয় পক্ষকে আহ্বান জানাই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসুন, এই দুঃস্বপ্নময় সহিংসতার ইতি টানুন এখনই। তিনি দোহায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব সামাজিক উন্নয়ন সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের বলেন, সুদানের ভয়াবহ সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এল ফাশার এবং আশপাশের এলাকা দুর্ভোগ, ক্ষুধা, সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস শহরটিতে প্রবেশের পর থেকে পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে। লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। অনেকে অপুষ্টি, রোগ ও সহিংসতায় মারা যাচ্ছেন।
দোহা সম্মেলনে তার এই আহ্বানের সময় সুদানের সরকারি বাহিনী, যার সদর দপ্তর পোর্ট সুদানে, তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করবে কিনা বা সেটিকে আরএসএফের শহরগুলো থেকে প্রত্যাহারের শর্ত দেবে কিনা- তা নিয়ে আলোচনায় ছিল। এল ফাশারের পতনের ফলে আরএসএফ এখন দারফুরের সব পাঁচটি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যা দেশটি পূর্ব-পশ্চিম বিভাজনের দিকে যাচ্ছে কিনা- এমন আশঙ্কা তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:০৭:০৫ ২১ বার পঠিত