অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড !

প্রথম পাতা » জেলা জজ কোর্ট » অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড !
রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩



 ---

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় ১০ বছর এবং অর্থপাচারের দায়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিন ধারার সাজা একটার পর একটা চলবে বিধায় পিকে হালদারকে ২২ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় এই মামলার অন্য আসামি অবন্তিকা, শঙ্খ, সুকুমার ও অনিন্দিতা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পিকে হালদার পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে। তিনি এই মুহূর্তে ভারতের কারাগারে আটক আছেন।

এর আগে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) একই আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, পি কে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এ সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। বর্তমানে এর বাজারমূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজের নামে জমি কিনেছেন ৪ হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ এ সম্পদের বর্তমান মূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডিতে পি কে হালদারের নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, পি কে হালদার তার নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন করেছেন। যার দাম ১২ কোটি টাকা। পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিন রোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনেন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। নিজের কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে ২ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন ৮তলা হোটেল (র‌্যাডিসন নামে পরিচিত)। যার আর্থিক মূল্য এখন ২৪০ কোটি টাকা। এছাড়া পি কে হালদারের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী ও অনঙ্গ মোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি, এর বর্তমান দাম ১৬৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পি কে হালদার ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮০ কোটি টাকারও বেশি।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন। এরপর তদন্ত করে দুদক পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০:০০:০৩   ১৭৬ বার পঠিত  




জেলা জজ কোর্ট’র আরও খবর


বিদেশে এস আলমের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ
শামীম ওসমানের ২ প্লট জব্দের আদেশ
নিজের সুরক্ষা চেয়ে মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা করলেন তরুণী
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার কারাগারে
আরও ৩ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচাররককে বদলি
ডিবির হারুনের সহযোগী জাহাঙ্গীরের প্লট ক্রোকের আদেশ
নাসার নজরুলের স্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রোক, ৫৫ কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ
এস আলমের ২০০ একর জমি জব্দের আদেশ
মাদক মামলায় ক্যাসিনো সম্রাটের বিরুদ্ধে আরও দুইজনের সাক্ষ্য
৮ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সুব্রত বাইন

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ